জাতীয় ডেস্ক
খুলনার খালিশপুরে বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা বিষয়টি শনাক্ত করে দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, যার ফলে সম্পূর্ণ গাড়ি পুড়ে যায়নি। পুলিশ এলাকা তদারকি বাড়িয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
ঘটনার সময় গাড়ির মালিক জানান, রাতে কিছু লোকের পায়ের শব্দ শুনে তিনি বাইরে এসে দেখেন কয়েকজন যুবক পিকআপে আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এর ফলে গাড়ির সামনের কভার ও গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সম্পূর্ণ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি একটি পরিকল্পিত ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পালিয়ে থাকা স্থানীয় নেতাদের অর্থ দিয়ে কিছু অল্পবয়সী যুবকদের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ বর্তমানে ওই নেতাদের তালিকা তৈরি করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী জানান, আগুন লাগানোর সময় গাড়ির ওপর কাপড় ছিল, যার কারণে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দুর্বৃত্তরা সম্পূর্ণভাবে আগুন লাগাতে সক্ষম হয়নি। তিনি বলেন, খালিশপুর থানা এলাকা পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনা রোধে সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশ আরও কড়া তদারকি করছে। স্থানীয় প্রশাসনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অচিরেই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এ ধরনের ঘটনা এলাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও দ্রুত আগুন নেভানো এবং পুলিশি তৎপরতার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে এবং জনসাধারণকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা সতর্ক এবং পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই ঘটনায় স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশ বিশেষ টহল চালাচ্ছে এবং সম্ভাব্য অন্যান্য অরাজক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, খালিশপুরে পূর্বেও সামান্য অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ঘটনার তথ্য ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে।