অর্থনীতি ডেস্ক: বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ভোক্তাদের স্বার্থে কাজ করা তাদের প্রধান লক্ষ্য। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভোজ্যতেলের ডিস্ট্রিবিউটর (ডিও) ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন। সভায় ভোজ্যতেলের সরবরাহ শৃঙ্খল ও বাজার স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে ডিও ব্যবসায়ীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা চাওয়াসহ বাজার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজীকরণই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ এবং তা বাস্তবায়নে কোনো ঘাটতি নেই। তিনি আরও বলেন, ভোজ্যতেলের সরবরাহ শৃঙ্খলে ডিও ব্যবসায়ীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা অপরিহার্য।
তিনি জানান, ভোক্তাদের স্বার্থে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে এবং বাজারে কার পক্ষে বা বিপক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা বিবেচনা করা হবে না। মন্ত্রণালয় ভোজ্যতেলের বাজারে নৈরাজ্য রোধ করতে উৎপাদন ও আমদানি স্তর থেকে শুরু করে ডিও ব্যবসায়ী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সবকে কার্যক্রমের আওতায় আনবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টার মতে, প্রচলিত রীতিতে খুচরা বা মাঝারি বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে তা কার্যকর হয় না। তিনি বলেন, তেলের বাজার অস্থির হওয়ার পেছনে মিল মালিক, ডিও ব্যবসায়ী বা উভয়ই জড়িত থাকতে পারেন। তবে একক খুচরা দোকানদারের উপর দায় চাপানো এবং টেলিভিশনে তেল উদ্ধারের নাটক দেখানো সমাধান নয়। প্রকৃত দোষী শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় ডিও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন যে, মিল মালিকদের কাছ থেকে সময়মতো পণ্য না পাওয়ার কারণে বাজারে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এবং এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়শল আজাদ এবং বিভিন্ন ভোজ্যতেল ডিও ব্যবসায়ী নেতারা।
সভায় আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ভোজ্যতেলের সরবরাহ শৃঙ্খল সুসংহত করা, বাজার স্থিতিশীল রাখা, এবং ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা করার প্রক্রিয়া কার্যকর করা অন্যতম। এছাড়া মন্ত্রণালয় উৎপাদন থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায় পর্যন্ত সকল পর্যায়ে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়।
মোটকথা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোজ্যতেলের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ডিও ব্যবসায়ীদের সহমত ও সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সম্ভাব্য নৈরাজ্য রোধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।