জাতীয় ডেস্ক
রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে একটি বাসায় গুলি করে মামুন শিকদার (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, এই হত্যাকাণ্ড মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফল হতে পারে।
বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসানুর রহমান জানান, মধ্য বাড্ডার কমিশনার গলির খ-১৯৮ নম্বর দুই তলা টিনশেড বাড়ির নিচতলা থেকে মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের থুতনির নিচে একটি গুলির ছিদ্র রয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও মৃতদেহের অবস্থার ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণকে গুলিবিদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এসআই মো. হাসানুর রহমান বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করা বাসাটি নিহতের নিজস্ব বাসা নয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, ওই বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক ধারনায়, মাদক কারবারের বিরোধে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। তবে বিস্তারিত তথ্য এবং ঘটনার প্রেক্ষাপট নিশ্চিত করতে পুলিশ আরও তদন্ত চালাচ্ছে।
নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করে তার নাম পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তার বাবা আব্দুল মালেক শিকদার এবং বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আগলী গ্রামে। এখনও পর্যন্ত তার পরিবারকে যোগাযোগ করা যায়নি।
পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশের আরও তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং অভিযুক্তদের সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মোটের উপর, মধ্য বাড্ডার এই হত্যাকাণ্ড দেশের রাজধানীর নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সহিংসতা প্রসঙ্গে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সকল দিক এবং সম্ভাব্য ছদ্মবেশী চক্রের তথ্য সংগ্রহে মনোযোগ দিচ্ছেন।