ডেস্ক
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, যাদের নির্ধারিত সময়ে প্রবেশের সুযোগ না দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন বর্জন করতে হয়েছে। ঘটনা গত ১০ নভেম্বর ঘটে, যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিনে সমাপনী অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এক ভিডিও বার্তায় বুলবুল বলেন, “আমি নিজে সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়েছিলাম। তবে অনুষ্ঠান প্রস্তুতি ও সমাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ায় বাইরে এসে দেখা যায় যে, সাংবাদিকদের যথাযথ সম্মান ও সুবিধা দেওয়া হয়নি। আমাদের পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণ রক্ষার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হয়নি, এজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুলবুল বলেন, “যে কোনো বিভাগের কারণে এই ব্যর্থতা হয়েছে, আমরা তা তদন্ত করব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
বিসিবি সভাপতির কথায়, সাংবাদিকরা ক্রিকেটের উন্নয়নে এবং সংস্থার কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বলেন, “ভুল আমাদের হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে আমরা চেষ্টা করব এমন পরিস্থিতি পুনরায় না ঘটে। সাংবাদিকরা আমাদের পাশে থাকবেন এবং আমরা সকলেই মিলিত হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
ঘটনাটি দেশের ক্রিকেট ও সাংবাদিক সম্প্রদায়ের মধ্যে গুরুত্বসহকারে আলোচিত হয়, বিশেষ করে কনফারেন্স ও সমাপনী অনুষ্ঠানের সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা কেন ব্যর্থ হলো তা নিয়ে। এই ঘটনায় বোর্ডের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার দায় ও ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ফুটে উঠেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাংবাদিকদের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় না থাকলে ক্রীড়া সংস্থার স্বচ্ছতা ও তথ্যপ্রবাহে প্রভাব পড়তে পারে। বিসিবির পক্ষ থেকে প্রকাশিত ক্ষমা প্রার্থনা ও প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সংকেত পাওয়া গেছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যপরায়ণতা পুনঃমূল্যায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা এড়ানোর দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বুলবুলের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, সাংবাদিকদের সঙ্গে সুষ্ঠু যোগাযোগ এবং অনুষ্ঠান পরিচালনায় পূর্ণতা প্রদানের বিষয়টি বোর্ডের জন্য অগ্রাধিকার হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সাংবাদিকরা বোর্ডের প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সমর্থন করবেন।