আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক সতর্ক করে বলেছেন, পশ্চিমা দেশ এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠছে। তার মতে, ইউরোপের দেশগুলোর দ্রুত সামরিক প্রস্তুতি এবং অস্ত্রসজ্জার বৃদ্ধি এই পরিস্থিতি আরও নির্ধারিত করে তুলছে।
মঙ্গলবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ভুসিক বলেন, ইউরোপ এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি বড় যুদ্ধের সম্ভাবনা এখন আর নিছক কল্পনা নয়। তিনি উল্লেখ করেন, সামরিক ব্যয়ের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার হুমকির কারণে দ্রুত সামরিকীকরণের পথে হাঁটছে। যদিও মস্কো এই বিষয়টিকে ঘরোয়া অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিভ্রান্তিকর রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে বাতিল করেছে।
ভুসিক আরও বলেন, “আমার ধারণা, ইউরোপ এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা এখন আরও দৃঢ় হচ্ছে। তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোমানিয়া, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ডের মতো ছোট দেশগুলোও একই পথে হাঁটছে, রাশিয়ানরাও তাই।”
তিনি আরও জানান, “সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে, আর এর ফল কেবল সংঘাত হতে পারে।” এই পরিস্থিতিতে সার্বিয়া নিজেকে একদিকে খাদ এবং অন্যদিকে কূপের মাঝে অনুভব করছে, এবং তাই সামরিক প্রস্তুতি আরও জোরদার করতে হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রেসিডেন্ট ভুসিকের এই মন্তব্যের মধ্যে সার্বিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান বিষয়ক প্রচেষ্টা চললেও, সার্বিয়া মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অস্বীকার করার কারণে বেলগ্রেডের এই আবেদন কার্যত স্থগিত হয়ে রয়েছে। সার্বিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় থাকলেও, সার্বিয়া রাশিয়ার অন্যতম প্রধান জ্বালানি সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, মস্কো বারবার অভিযোগ করেছে যে, ন্যাটো এবং ইইউ ক্রমাগত তাদের সম্প্রসারণের মাধ্যমে ইউরোপে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে, যা আরও সংঘাতের কারণ হতে পারে।
এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত করছে যে, ইউরোপে শীতল যুদ্ধের পরবর্তী নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে, যা একে অপরকে মোকাবেলা করতে যাওয়া শক্তিশালী সামরিক শক্তিগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি করবে।