আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২ লাখ ৮২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। শীত আসার আগেই লাখো ফিলিস্তিনি পরিবার তাঁবুতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন, আর অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় যুদ্ধবিরতি কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সহায়তা প্রদানকারী ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, তাদের শেল্টার ক্লাস্টার নামক মানবিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে গাজার ভেতর বহু পরিবার উচ্ছিন্ন হয়ে তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে এবং বর্তমানে তারা সংকীর্ণ জায়গায় গাদাগাদি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, ফিলিস্তিনিরা মৌলিক প্রয়োজনীয়তা, যেমন খাবার, পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে লড়াই করছে। অনেক পরিবার ঠাণ্ডা ও বৃষ্টিতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য স্থায়ী বা নিরাপদ স্থান পায়নি, এবং তাদের জীবনযাত্রা সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে।
তবে, যদিও হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তবুও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে এই সমঝোতা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এতে, গাজায় নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে এবং ত্রাণ সরবরাহ ও মানবিক সহায়তার প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ইসরায়েলের হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ। ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে গাজা উপত্যকা বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।