1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ পাবে ডব্লিউটিওর কারিগরি সহায়তা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরও ডব্লিউটিওর কারিগরি সহযোগিতা এবং সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ডব্লিউটিও’র উপমহাপরিচালক শিয়াংচেন ঝাং এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিয়াংচেন ঝাং বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা পাবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে উপকৃত হচ্ছে। এছাড়া, ডব্লিউটিও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য সক্ষমতা জোরদারে কাজ করছে।

ডব্লিউটিও’র উপমহাপরিচালক এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ) সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ইআইএফ-এর একটি প্রধান সুবিধাভোগী দেশ এবং এই প্রোগ্রামটি এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর বৈশ্বিক বাণিজ্যে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তিনি উল্লেখ করেন, ইআইএফ বর্তমানে তৃতীয় ধাপে রূপান্তরিত হচ্ছে এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ আরও পাঁচ বছর ইআইএফ সুবিধা গ্রহণ করবে।

ইআইএফের সহায়তায় বাংলাদেশ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং তৈরি পোশাক খাতে বৈচিত্র্য আনতে কৌশলগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলো দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

অর্থনৈতিক সহায়তার বিষয়ে ঝাং আরও বলেন, বাংলাদেশ ‘এইড ফর ট্রেড ইনিশিয়েটিভ’-এর একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধাভোগী দেশ, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ডব্লিউটিও’র ‘এইড ফর ট্রেড ইনিশিয়েটিভ’-এর শীর্ষ দশ সুবিধাভোগীর মধ্যে ছিল এবং এ সময়ে দেশটি ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা পেয়েছে।

ঝাং বলেন, বাংলাদেশ ডব্লিউটিও সংক্রান্ত শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো বজায় রেখেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) একটি ডব্লিউটিও রেফারেন্স সেন্টার পরিচালনা করছে, যা বাণিজ্য সম্পর্কিত তথ্যের প্রবেশাধিকার প্রদান করে।

ডব্লিউটিও’র উপমহাপরিচালক সতর্ক করে বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে একটি নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এতদিন মূলত এলডিসি গ্রুপের অংশ হিসেবে ডব্লিউটিওতে অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু উত্তরণের পর দেশটিকে নতুন স্তরের উন্নয়নশীল ডব্লিউটিও সদস্যদের সঙ্গে কৌশলগত জোট গঠনে মনোযোগ দিতে হবে।”

বাংলাদেশ ১৯৯৫ সাল থেকে ডব্লিউটিও’র সদস্য এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই উত্তরণ দেশের বাণিজ্য নীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আসবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশটি ডব্লিউটিও সদস্য হিসেবে উত্তরণের পর বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন কৌশল অনুসরণ করবে।

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি, যেমন রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)-এ যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করতে হবে। এ ধরনের উদ্যোগগুলো বাংলাদেশকে বিশ্ব বাণিজ্যে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, ডব্লিউটিও একটি জেনেভা ভিত্তিক আন্তঃসরকারি সংস্থা যা বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ এবং সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য নীতির সমন্বয় সাধন করে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com