শেয়ারবাজার ডেস্ক
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্ট মিলস পিএলসি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই ২০২৫–সেপ্টেম্বর ২০২৫) শেয়ার প্রতি সমন্বিতভাবে ২১ টাকা ১৯ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, যখন শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩ টাকা ২৯ পয়সা।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো মাইনাস ৩ টাকা ২২ পয়সা হয়েছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের মাইনাস ৩ টাকা ২৯ পয়সার তুলনায় সামান্য উন্নতি নির্দেশ করে। তবে সমন্বিত ক্ষতির উচ্চতা কোম্পানির আর্থিক কার্যক্রমে চ্যালেঞ্জ নির্দেশ করছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিমেন্ট খাতের উৎপাদন ও বাজারে চাহিদার ওঠা-নামা কোম্পানির আয়ের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। মেঘনা সিমেন্টের এই প্রান্তিকের লোকসান মূলত কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, উৎপাদন ব্যয় ও বাজারে মূল্য চাপের কারণে হয়েছে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।
প্রান্তিকের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (নেট অ্যাসেট ভ্যালু পার শেয়ার বা এনএভিপিএস) ২২ টাকা ৮৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি কোম্পানির আর্থিক স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিষয়টি বাজার বিশ্লেষক এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শেয়ার প্রতি ক্ষতি ও নগদ অর্থপ্রবাহের অবস্থান আগামী কার্যাবলীর পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী আয়ের সম্ভাবনা এবং ডিভিডেন্ড নীতি সম্পর্কে সতর্ক দৃষ্টিকোণ রাখতে পারেন।
মেঘনা সিমেন্টের এই আর্থিক প্রতিবেদনটি কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের কৌশলগত সিদ্ধান্ত এবং বাজারে শেয়ার মূল্যের পরবর্তী ধাপের ওপর প্রভাব ফেলবে। ব্যবসায়িক পরিবেশের পরিবর্তন, নির্মাণ খাতের চাহিদা এবং কাঁচামালের মূল্যের ওঠানামা ভবিষ্যতে কোম্পানির আর্থিক ফলাফলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।