জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রতিষ্ঠানের এরিয়া ম্যানেজার মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ চার কর্মকর্তা রাতভর অফিসে ছিলেন। রাত সোয়া দুইটার দিকে বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভাঙে। ঘুম থেকে জেগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে তারা মূল ফটকে আগুনের চিহ্ন দেখতে পান। তবে তিনি উল্লেখ করেন, কার্যালয়ের ভিতরে কেউ আহত হননি এবং কোনো গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
মো. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, “সাইনবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, পুলিশ টহল জোরদার রাখায় হামলাকারীরা বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারেনি। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পেট্রোল বোমার বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “কারা এই হামলা চালিয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই ধরনের হামলার পেছনে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকতে পারে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে পুলিশের টহল ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় আশেপাশের এলাকাবাসীও সতর্ক হয়ে ওঠেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেন। এছাড়া ব্যাংক ও আশপাশের দোকানগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, এই হামলা স্থানীয় কমিউনিটি ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা ব্যাহত না হয়ে সাধারণ কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং গ্রাহকসেবায় কোনো সমস্যা হবে না।
তদন্তকারীরা এখন বোমা বিস্ফোরণের সময় উপস্থিত স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য সংগ্রহ ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছেন। এ ছাড়াও ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রটোকল পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে কৌশলগত নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের বাইরে বোমা নিক্ষেপ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে এলাকায় আরও তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।