খেলাধুলা ডেস্ক
আগামীকাল বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের জন্য এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ হোম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপের এই ম্যাচটি বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হলেও, বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে। ভারতও দুই ম্যাচ আগে একই পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে, কিন্তু ম্যাচটি তবুও মহাব্যস্ত এবং উত্তেজনাপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।
আজ (সোমবার) দুপুরে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচ খালিদ জামিলকে ঘুরেফিরে বাংলাদেশের তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরী নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। হামজা চৌধুরী দলের শক্তি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে পরিচিত। তিনি তার পাঁচটি ম্যাচে চারটি গোল করেছেন, যা বাংলাদেশের আক্রমণভাগের উন্নতি ঘটিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জামিল বলেন, “বাংলাদেশ ভালো দল, তাদের অনেক কোয়ালিটি ফুটবলার রয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছি না।”
তবে, জামিল পরবর্তীতে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে ভারত ইতিমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমরা এখন শুধুমাত্র আগামীকালকের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি।” এই বক্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে, ভারতীয় কোচ আগামীকালকের ম্যাচটিকে হালকাভাবে নিতে চান না, যদিও ম্যাচটি নিয়মরক্ষার।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের উত্তেজনা সবসময়ই বিশেষ থাকে। অতীতে সুনীল ছেত্রীর মতো তারকা খেলোয়াড়দের দারুণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ হারাতে দেখা গেছে। গত বছর সুনীল ছেত্রী অবসর নিয়েছিলেন, তবে ভারতের সাবেক স্প্যানিশ কোচ তাকে অবসর থেকে ফিরিয়ে আনেন। ২৫ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচে সুনীল ছেত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন। কিন্তু এবার ভারতীয় কোচ জামিল তাকে দলে রাখেননি। সুনীলকে নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জামিল জানান, “সে অবসর নিয়েছে।”
এদিকে, খালিদ জামিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের স্মৃতি নিয়ে বলেন, “দুই দলের খেলোয়াড়রা জানে এই ম্যাচের গুরুত্ব। সবাই সিরিয়াস থাকে এবং ভাল খেলতে চায়।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা আগামীকালকের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি, যা এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের অংশ, এবং আমরা ম্যাচটি জিততে চাই।”
ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল ভারতের সাবেক ফুটবলার, এবং বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, “এই ধরনের ম্যাচগুলো যে কোনও খেলোয়াড়ের জন্যই বিশেষ।” এমনকি তিনি উল্লেখ করেন, ভারতীয় দলের অনুশীলন সময়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, “আমরা সাধারণত ম্যাচের ৩৬ ঘণ্টা আগে এমন সময়েই অনুশীলন করি, এটি আমাদের নিয়ম।”
আগামীকাল (মঙ্গলবার) রাত আটটায় বাংলাদেশ ও ভারত তাদের মধ্যকার ঐতিহাসিক ম্যাচটি ফ্লাডলাইটের আলোয় খেলবে। যদিও ম্যাচটি মূলত নিয়মরক্ষার, তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ম্যাচে দুই দলেরই প্রতিশ্রুতি এবং সামর্থ্যের পরীক্ষা হতে পারে।