বিনোদন ডেস্ক
বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে স্তন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। ২০২২ সালে তার ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি এই বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার এই অভিজ্ঞতা এবং স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা শেয়ার করেছেন।
মহিমা জানান, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পরও তার শরীরে কোনো লক্ষণ ছিল না। তিনি বলেন, “কোনো লক্ষণ ছিল না শরীরে। আমি যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত, তা ভাবতেও পারিনি। চেকআপও করিনি কখনও। শুধুই বার্ষিক চেকআপের জন্য যেতাম।” তিনি আরও বলেন, ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা খুব সহজে ধরা পড়ে না, এবং এটি শুধুমাত্র স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব। “আপনি যদি প্রতি বছরই চেকআপ করান, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব,” যোগ করেন মহিমা।
২০২২ সাল থেকে মহিমা চৌধুরী ক্যানসারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন এবং নিয়মিত চেকআপের জন্য মুম্বাই যান। তিনি জানান, ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য চেকআপের গুরুত্ব অপরিসীম। তার মতে, “ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা কেউ ধরতেই পারবে না। এটি শুধুমাত্র স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমেই ধরা পড়তে পারে।”
ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর মহিমা ভারতে চিকিৎসা ক্ষেত্রের পরিবর্তনও লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেন, “তিন-চার বছর আগে রোগ নির্ণয়ের পর থেকেই আমি ভারতে ক্যানসার চিকিৎসায় বিরাট পরিবর্তন দেখেছি। অনেক জেনেরিক ওষুধ এখন বেশ সস্তা। এছাড়া, ওষুধ কোম্পানিগুলোর থেকেও ভালো সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। ক্যানসার সচেতনতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।”
মহিমা চৌধুরী তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন ১৯৯৭ সালে শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘পারদেশ’ সিনেমার মাধ্যমে, যা তাকে জাতীয়ভাবে পরিচিতি এনে দেয়। এরপর তিনি ‘দাগ : দ্য ফায়ার’, ‘ধাড়কান’ এবং ‘লজ্জা’ সিনেমাগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করেন। দীর্ঘ বিরতির পর, তিনি ২০২২ সালে ‘দ্য সিগনেচার’ সিনেমার মাধ্যমে আবার পর্দায় ফিরেছেন।
মহিমা তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি অনেক শক্তি এবং সাহস পেয়েছেন, যা তাকে তার ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনে এগিয়ে চলতে সাহায্য করছে। তার এই খোলামেলা কথা এবং ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।