1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

লিবিয়া থেকে ১৭০ বাংলাদেশি নাগরিকের নিরাপদ প্রত্যাবাসন

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

লিবিয়া থেকে ১৭০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ দূতাবাস এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ১৭ নভেম্বর বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় এসব নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। প্রত্যাবাসিতরা ১৮ নভেম্বর, সকাল ৬টায় ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার নিজে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম তদারকি করেন এবং প্রত্যাবাসিতদের বিদায় জানান। রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আইওএমের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশা ব্যক্ত করেন।

প্রত্যাবাসিতদের আনা হয় বুরাক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট UZ222-এর মাধ্যমে, যা আইওএম কর্তৃক চার্টার করা হয়। এ প্রক্রিয়া চলাকালে বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইওএমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে, যাতে দ্রুত ও নিরাপদে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানো সম্ভব হয়।

রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল খায়রুল বাশার অভিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য বৈধ এবং নিরাপদ পথই একমাত্র সঠিক উপায়। তিনি প্রত্যেক নাগরিককে দেশে ফিরে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন, সরকারি প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং বৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশ গমনের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসন শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নয়, এটি ব্যক্তি, পরিবার এবং জাতীয়ভাবে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

অভিবাসীদের জন্য রাষ্ট্রদূত আরও পরামর্শ দেন যে, দেশে ফিরে শুধু চাকরির জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। সরকারের বিভিন্ন সুবিধা, ঋণ সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অর্থনীতিতে সক্রিয় অবদান রাখার সুযোগ এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি।

রাষ্ট্রদূত মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও অভিবাসীদের উৎসাহিত করেন এবং বলেন, দেশ ফিরে আইনি সহায়তা প্রয়োজন হলে দূতাবাস সর্বদা সহযোগিতা প্রদান করবে।

এদিকে, লিবিয়া থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম এক ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা ভবিষ্যতে আরও অন্যান্য অভিবাসীদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com