বিনোদন ডেস্ক
২০১৭ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ খেতাব জয়ী মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৫’-এ বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিযোগিতার প্রাথমিক ধাপে সেরা ২০ সুন্দরীর তালিকায় স্থান পেতে জেসিয়া তার সমর্থকদের সাহায্য কামনা করেছেন।
জেসিয়া সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় জানান, প্রতিযোগিতার টপ টুয়েন্টে পৌঁছাতে তিনি দর্শকদের সমর্থন চাইছেন। তিনি বলেন, ভোট দিতে ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে এবং প্রথম ভোট সবার জন্য বিনামূল্য হবে। জেসিয়া তার পরিবার, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানান যাতে তারা ভোট প্রদান করতে পারেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার জয় শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জন্যও একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য হবে।
জেসিয়ার পেশাগত জীবন মূলত মডেলিং এবং অভিনয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। দুইটি চলচ্চিত্রে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ‘দরদ’-এ তিনি অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে ছিলেন শাকিব খান ও সোনাল চৌহান। এছাড়া ‘মাসুদ রানা-৯’ চলচ্চিত্রে তিনি এজেন্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটক এবং মডেলিংয়ের বিভিন্ন প্রজেক্টেও অংশগ্রহণ করেছেন জেসিয়া, তবে উল্লেখযোগ্যভাবে শোবিজ অঙ্গনে স্থায়ী অবস্থান তৈরি করতে পারেননি।
ব্যক্তিগত জীবনের কিছু ঘটনার কারণে জেসিয়া আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন। অতীতে ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরের সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণে একটি রাতে প্রকাশ্য রাস্তায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে এই ঘটনা তার পেশাদার কর্মকাণ্ডের প্রভাবকে সীমিত রেখেছে এবং বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে নতুন দিক থেকে নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশি মডেলদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। দেশের পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থন পেলে জেসিয়ার এই অংশগ্রহণ শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য হিসেবে নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপস্থিতি শক্তিশালী করার সুযোগ হিসেবে গণ্য হবে। এই ধরনের আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে আরও বাংলাদেশি প্রতিযোগীর জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করতে পারে।
জেসিয়ার প্রচেষ্টা দেশের নাম উজ্জ্বল করতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে যখন আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া মডেল ও অভিনেত্রীদের সংখ্যা সীমিত। তার অংশগ্রহণ দেশের শোবিজ অঙ্গনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চের সংযোগ তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে নতুন প্রতিভাদের সুযোগের পথ প্রশস্ত করতে সহায়ক হবে।