জাতীয় ডেস্ক
সরকার সম্প্রতি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম এ রুস্তম। এর আগে এই হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাজহারুল ইসলাম খান, যিনি পুনরায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পিকে এম মাসুদ-উল-ইসলাম। এর পূর্ববর্তী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদকেও পুনরায় সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন পরিচালকরা স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতায় দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের দায়িত্বভার গ্রহণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর প্রশাসনিক কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন দিকনির্দেশনা নির্ধারণের আশা করা হচ্ছে।
সরকারি পর্যায়ে এই ধরনের নিয়োগ সাধারণত হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যক্রমকে উন্নত করার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদানে মান উন্নয়নের উদ্দেশ্যে করা হয়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সামরিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন পরিচালকরা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান, রোগী সেবা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তদারকি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম সুসংহতভাবে পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। বিশেষভাবে তারা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ, মেডিকেল শিক্ষা কার্যক্রম, হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও তদারকি করবেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ ধরনের নিয়োগ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন পরিচালকরা হাসপাতালের কার্যক্রমের প্রতিনিয়ত উন্নয়ন, রোগীদের সেবা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করবেন।
সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রশাসনিক পরিবর্তনের ফলে স্থানীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার মান, রোগী সেবার গুণগত মান এবং হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব আশা করা যাচ্ছে। এ নিয়োগের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোর নেতৃত্বে স্থায়িত্ব ও সক্ষমতা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় আরও পেশাদারিত্ব আনা সম্ভব হবে।
এই নিয়োগের ফলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোর প্রশাসনিক কাঠামো এবং চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়ানো, হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের কাজের সুষ্ঠু সমন্বয় এবং রোগীর সেবার মান উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে।