আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহার রাজ্যের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, দেশবাসী সেই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থা রাখে যারা প্রকৃত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) তিনি ষষ্ঠ রামনাথ গোয়েঙ্কা লেকচারে এই মন্তব্য করেন।
মোদি বলেন, বিহার নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করেছে যে জনগণের প্রত্যাশা অত্যন্ত উচ্চ এবং তারা তাদের আশা পূরণে কার্যকর, সৎ উদ্দেশ্যসম্পন্ন এবং উন্নয়নমুখী দলগুলোর প্রতি আস্থা রাখে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্য সরকার হোক, সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নীতি ও কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারগুলো যদি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে, তবে তা দেশের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি বিজেপির নির্বাচনে ধারাবাহিক জয়ের কারণ হিসেবে দলের অব্যাহতভাবে জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের প্রতি মনোযোগকে উল্লেখ করেন। মোদি বলেন, “নির্বাচনে জিততে হলে সবসময় মানুষকে কেন্দ্র করে কাজ করতে হয়, নির্বাচনী স্বার্থ বা ভাবনার ওপর নয়।”
মোদি ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ওপরও আলোকপাত করেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন ভারতের উন্নয়ন মডেলকে সম্ভাবনার মডেল হিসেবে দেখে। তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার মধ্যেও ভারতের জিডিপি প্রায় সাত শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত শুধু উদীয়মান বাজার নয়, এটি একটি উদীয়মান মডেলও।”
তিনি আরও জানান, ভারত বর্তমানে উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অস্থির। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও দেশটি দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। মোদি বলেন, সব সরকারি নীতি ও কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনগণের জীবনমান উন্নত করা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, উন্নয়নমুখী নীতি ও কার্যক্রম শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নয়, বরং দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। মোদি মনে করেন, জনমুখী নীতি বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের উন্নয়ন প্রতিটি রাজ্যের জন্য দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
বিহার নির্বাচনের ফলাফল এবং সরকারের নীতি প্রণয়নকে কেন্দ্র করে মোদি এই বার্তা দিয়েছেন যে, দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনগণের প্রত্যাশা এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, সরকারী উদ্যোগ ও রাজ্য পর্যায়ের প্রতিযোগিতামূলক নীতি দেশের দ্রুত অগ্রগতিতে সহায়তা করবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের উদীয়মান অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।