খেলাধুলা ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল তার মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর সাফল্যপূর্ণ পারফরম্যান্সে নতুন উদ্দীপনা পেয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই খেলোয়াড় বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে লাল-সবুজের জার্সিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ম্যাচের সময় দল যখন এক গোলের জন্য মরিয়া ছিল, তখন হামজা একটি দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকে গোল করে সমর্থকদের উজ্জীবিত করেছেন। পরে পেনাল্টি থেকে আরেকবার জালে বল পাঠান। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে নেপাল একটি গোল করে সমান ২-২ ড্রতে শেষ হয়।
ম্যাচ শেষে হামজা চৌধুরী জানান, দল ড্র হওয়ার পর হতাশ হলেও ভবিষ্যতের বড় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে। তিনি আজকের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সতীর্থদের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষায় মনোযোগী ছিলেন। তিনি আরও জানান, দর্শকদের সমর্থন ও উত্তেজনা স্টেডিয়ামে প্রত্যাশিত এবং এটি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পঞ্চম রাউন্ডের অংশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই দল ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছে। তবুও মাঠে ‘যুদ্ধের আঁচ’ রয়েছে এবং উভয় দলই নিজেদের সর্বোচ্চ প্রদর্শন করার মনোভাব নিয়ে অংশ নিচ্ছে। বিশেষভাবে বাংলাদেশের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর পারফরম্যান্স এবং তার মাঠের দৃঢ় মনোভাব দলকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করেছে।
চার ম্যাচের খেলার পর ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের ও ভারতের পয়েন্ট সমান চার। গোলপার্থক্যের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান এগিয়ে, আর ভারতের অবস্থান তলানিতে। এই ম্যাচ শুধুমাত্র পয়েন্ট ব্যবধান বৃদ্ধির জন্য নয়, বরং আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার এবং গৌরব অর্জনের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা ম্যাচের আগে সতর্ক থাকায় এবং পুরো দলের মধ্যে একাত্মতা থাকায় প্রত্যাশা করা হচ্ছে, খেলোয়াড়রা নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য প্রমাণ করবেন। বিশেষভাবে হামজা চৌধুরীর ইতিবাচক প্রভাব এবং তার অভিজ্ঞতা দলের খেলার মান বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ম্যাচের ফলাফল যেভাবেই হোক, বাংলাদেশ-ভারতের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্থানীয় ফুটবল সমর্থকদের জন্য উত্তেজনা ও আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। দুই দলের মধ্যকার এই লড়াই নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতায় উভয় দলের জন্য শিক্ষা ও প্রস্তুতির দিক উন্মুক্ত করেছে।