খেলাধুলা ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আজ রাতের বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ২-১ গোলে জয় অর্জন করেছে। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দুই দেশের ফুটবলপ্রেমীরা গ্যালারিতে উপস্থিত থেকে উত্তেজনা ও উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করেন। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগ থেকেই স্টেডিয়াম দর্শকপ্রশ্নে উপচে পড়ছিল। খেলায় বাংলাদেশের বিজয় পুরো ক্রীড়াঙ্গনে আনন্দের ঢেউ সৃষ্টি করেছে।
ম্যাচের পর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ড্রেসিংরুমে গিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন এবং ইতিহাস সৃষ্টি করা এই জয়ের জন্য ২ কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান জানান, উপদেষ্টার এই অর্থনৈতিক উদ্দীপনায় খেলোয়াড়রা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নৈশভোজে অংশগ্রহণের জন্য হোটেলে উপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল সকালে বাংলাদেশ জাতীয় দল ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে।
উল্লেখযোগ্য, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া আগে নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের জন্যও অর্থনৈতিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছিলেন। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের এক কোটি টাকা এবং এশিয়া কাপ কোয়ালিফিকেশনের জন্য ৫০ লাখ টাকা প্রদান করেছেন। তাঁর এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়। অন্যদিকে, বাফুফে নারী ফুটবল দলের সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ১.৫ কোটি টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিল, তবে এক বছর অতিবাহিত হলেও তা কার্যকর হয়নি।
বাংলাদেশের এই জয় ক্রীড়াঙ্গনে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলের ক্ষেত্রে দেশের অবস্থান দৃঢ় করার দিকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতকে হারানোর এই জয়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এবং আগামী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তাদের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এছাড়া, ম্যাচের প্রস্তুতি ও পরিচালনার ক্ষেত্রে স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপচে পড়া উপস্থিতি ক্রীড়াপ্রশাসন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দর্শক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে এ ধরনের জয় কেবল খেলোয়াড়দের জন্য নয়, সাধারণ জনগণ ও সমর্থকদের জন্যও উৎসাহব্যঞ্জক। জাতীয় স্তরে খেলোয়াড়দের মান বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ক্রীড়া পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই ধরনের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। আগামী প্রতিযোগিতায় এই জয় দলকে আরও শক্তিশালী ও মানসিকভাবে দৃঢ় করবে।
ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার বোনাস প্রণোদনা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে, যা ভবিষ্যতে খেলোয়াড়দের মধ্যে উচ্চমানের পারফরম্যান্স এবং জাতীয় অর্জনের প্রতি উদ্দীপনা জাগাবে।