1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ১৫ কর্মকর্তার স্থানান্তর সম্পন্ন সরকারি কর্মচারীদের পে স্কেল কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ আসন্ন নির্বাচনে বেআইনি জনসমাবেশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সরকারের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা স্পষ্ট করল ইসি গুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ১৪ ডিসেম্বর আগামী জাতীয় নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চাইলেন সিইসি স্কুল পর্যায়ে বহু-ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনার কথা জানালেন তারেক রহমান সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান পরিকল্পনা সচিবের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক সব শক্তিকে এক হতে হবে : মির্জা ফখরুল গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে কিউবার সাবেক মন্ত্রীর আজীবন কারাদণ্ড

রাজধানীর গুলিস্তানে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান মোড়ে হোটেল রমনা সংলগ্ন একটি ছয়তলা বিশিষ্ট মার্কেটের তৃতীয় তলায় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় অর্ধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক ঘটনার বিষয়ে জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়। অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু হয় এবং রাত ১২টা ৫৮ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি এবং ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিরূপণের কাজ চলছে।

গুলিস্তান এলাকায় বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, মার্কেট ও পথচারীর চাপ থাকায় যে কোনো অগ্নিকাণ্ড দ্রুত বড় আকার ধারণের ঝুঁকি থাকে। ফলে ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী এলাকা তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং মানুষের চলাচল সীমিত করার জন্য পুলিশ সদস্যরা কাজ করে। আগুন লাগার সময় মার্কেটে দোকান বন্ধ থাকায় ভিড় কম ছিল, যা পরিস্থিতি সামলাতে সহায়ক হয়। তবে ভবনের নিচতলা এবং পাশের দোকানগুলোর ব্যবসায়ীরা আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় তারা দোকানের মূল্যবান সামগ্রী সরিয়ে নিতে চেষ্টা করেন, যদিও ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনের ভেতরে অননুমোদিত প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পানি ও ফোম ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক ত্রুটি বা শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তবে তদন্ত ছাড়া সুনির্দিষ্ট কারণ বলা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত করতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছে।

রাজধানীতে সাম্প্রতিক সময়ে বাজার, বাণিজ্যিক ভবন ও আবাসিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা ও আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে বলছেন। গুলিস্তানের এই মার্কেটটিও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যাপ্ততা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আগুন লাগার পরপরই দেখা যায়, ভবনের জরুরি সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অবস্থান সম্পর্কে অনেকেই যথেষ্ট জানতেন না। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ভবনের ভেতরে প্রবেশের সময় এসব অসুবিধার কথা উল্লেখ করেন।

আগুনের ঘটনায় এলাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। গুলিস্তান মোড় থেকে সংলগ্ন সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে। নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা জানান, তৃতীয় তলায় মূলত ছোট দোকান ও স্টোররুম ছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দোকান মালিকদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তদন্ত শেষে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন সম্পূর্ণ নেভানোর পর ভবনের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করা হয় যাতে পুনরায় আগুন জ্বলে ওঠার কোনো ঝুঁকি না থাকে। পাশাপাশি ভবনের কাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। ভবনের মালিকপক্ষ ও দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে ভবিষ্যতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে।

ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা মনে করছেন, নিয়মিত পরিদর্শন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে এ ধরনের দুর্ঘটনা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মার্কেটগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া প্রয়োজন।

এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এবং কারণ নির্ণয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর আরও তথ্য জানা যাবে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে তদন্তে অন্য সংস্থার সহায়তাও নেওয়া হবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com