নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, বুধবার, ১৯ নভেম্বর: নিজেদের আওতাধীন ভূমি ও জমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ঢাকা ওয়াসা)। এই উদ্দেশ্যে সংস্থাটি ইতোমধ্যে একটি ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করেছে, যা জমির মালিকানা এবং দখলসত্ব সংক্রান্ত দলিলাদি হালনাগাদ ও সঠিকভাবে রেকর্ড রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
ঢাকা ওয়াসার সচিব মশিউর রহমান খান জানিয়েছেন, সংস্থার ১০ সদস্যের কমিটি একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে। কমিটির কাজের মূল লক্ষ্য হলো ঢাকা ওয়াসার আওতাধীন জমির তথ্য হালনাগাদ করা, মালিকানা স্পষ্টকরণ এবং যেসব জমি বর্তমানে দখল বা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন, তা সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সংস্থার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা ওয়াসার ভূমি বিভাগের পরিচালক। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী, সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সচিব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সংশ্লিষ্ট জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সহকারী সচিব (ভূমি বিভাগ) এবং সংস্থার অর্থ কর্মকর্তা।
ঢাকা ওয়াসার ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রমের মাধ্যমে সংস্থার জমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, জমির মালিকানা এবং দখল সংক্রান্ত দলিলাদি সঠিকভাবে হালনাগাদ রাখার ফলে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের আইনি জটিলতা এবং জমি সম্পর্কিত বিরোধ হ্রাস পাবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জল সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে জমি ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ ধরনের ভূমি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসেবে পরিচালিত হওয়ায় প্রপার্টি সম্পর্কিত যে কোনো অস্পষ্টতা ভবিষ্যতে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটাতে পারে। ঢাকা ওয়াসার এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে সংস্থা প্রশাসনিক দক্ষতা এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক নিয়মাবলী অনুসরণ করতে প্রস্তুত।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, কমিটি নিয়মিতভাবে জমি সংক্রান্ত নথি যাচাই, হালনাগাদ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জোন অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে। এতে সংস্থার সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আরও সুসংগঠিত হবে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে ঢাকা ওয়াসার বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সংস্থার জমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ ও কার্যকর হলে তা নগর পরিচালনা, পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন সেবার মানোন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।