খেলাধুলা ডেস্ক
ঢাকা, বৃহস্পতিবার: চলমান দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিং আক্রমণে নতুন রূপ দেখা গেছে। দিনের শুরুতেই শততম টেস্ট খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন লিটন দাস। এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করে তিনি জোড়া সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন। মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৮৭ রান।
দিনের শুরুতে পুরো নজর ছিল মুশফিকুর রহিমের দিকে, যিনি ইতিমধ্যেই শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে লিটন দাসও নিজেকে আড়াল করতে দেননি। টেস্টে সবসময় ধারাবাহিক খেলার অভ্যাস থাকা এই ব্যাটার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শততম ম্যাচে খেলে মাইলফলক ইনিংসটি পূর্ণ করলেন। তিনি ১৬০ বলের মোকাবেলায় ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন।
লিটনের এই সেঞ্চুরি আসলে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর এসেছে। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছরের আগস্টে, পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ১৩৮ রানের ইনিংস খেলার সময়। এরপর কোনো ফরম্যাটেই ম্যাজিক ফিগার পায়নি তিনি। দীর্ঘ ১৪ মাসের পর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জোড়া সেঞ্চুরিতে পৌঁছে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
এই মুহূর্তে লিটনের সঙ্গে ক্রিজে ৩০ রানে অপরাজিত অবস্থানে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই জুটিতে এ পর্যন্ত ৭৭ রান যোগ হয়েছে। এর আগে লিটন মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি গড়েন। মুশফিক বাংলাদেশের হয়ে ১৩তম শতক পূর্ণ করে ১০৬ রানে ফেরেন ম্যাথু হাম্প্রিসের বলের ফাঁকিতে।
এ দিনের ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং আক্রমণ ধারাবাহিক এবং দৃঢ় দেখা গেছে। লিটন দাসের অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতা দলকে বড় স্কোরে পৌঁছানোর দিকে ধাবিত করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৪০০ রানের লক্ষ্য স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। এটি বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে শক্তিশালী ফর্ম ও স্থিতিশীলতা প্রদর্শনের নিদর্শন হিসেবে ধরা হচ্ছে।
লিটনের জোড়া সেঞ্চুরি শুধু দলের স্কোর বৃদ্ধিতেই সহায়ক নয়, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটে অভিজ্ঞ ব্যাটারদের অবদান ও নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য উদাহরণ হিসেবে কাজ করছে। প্রথম দিনে এই শক্তিশালী অবস্থান টেস্ট ম্যাচের পরবর্তী দিনগুলোতে কিভাবে চাপ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে, তা পর্যালোচনার বিষয় হয়ে থাকবে।
মোটের ওপর, বাংলাদেশের এই ইনিংস প্রথম দিনের শেষে দলের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পাশাপাশি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। অভিজ্ঞ ব্যাটারদের অনবদ্য খেলা এবং তরুণদের সহায়ক পারফরম্যান্স মিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি হিসেবে ফুটে উঠেছে।