1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য পরমাণু সংঘাত রোধে ট্রাম্পের দাবি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৩ বার দেখা হয়েছে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ থামাতে দুই দেশের নেতাদের ওপর ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। গতকাল, ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ইউএস-সৌদি ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে এই তথ্য তিনি জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে সংঘাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিনি জানান, বিষয়টি জানার পর তিনি দুই দেশের নেতাদের বলেন, “যদি যুদ্ধ চালাতে চান, তবে প্রত্যেক দেশের ওপর ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “পরমাণু বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট ধুলোবালি লস অ্যাঞ্জেলেসে ভেসে আসতে পারে, যা কখনও উচিত নয়।” এই হুমকির পর দুই দেশের নেতারা ট্রাম্পকে জানিয়েছিলেন যে তারা এটি পছন্দ করছেন না। ট্রাম্প জানান, তিনি সাড়া দেন, “আপনারা পছন্দ করুন বা না করুন, এতে আমার কিছু যায় আসে না।”

ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, শুল্ক হুমকি প্রদানের কিছু সময় পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তাকে ফোন করে জানান যে পাকিস্তান সংঘাত থামাতে প্রস্তুত। এর কিছু সময় পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীও একই বিষয় জানান।

প্রসঙ্গত, এই পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে ২০২৫ সালের এপ্রিল ও মে মাসের সংঘাত। ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগাম উপজেলার বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালের নাগরিক ছিলেন। হামলার দায়ে দায়ী করা হয় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’কে।

এই হামলার জবাবে ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সংক্ষিপ্ত সেনা অভিযান পরিচালনা করে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরসহ বিভিন্ন এলাকায়। অভিযানে পাকিস্তানের ১৩ সেনাসদস্যসহ মোট ৫১ জন নিহত এবং ৭৮ জন আহত হন। পাকিস্তান পাল্টা সেনা অভিযান ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ পরিচালনা করে, যেখানে ভারতের ৫ সেনা সদস্য এবং ১৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

উভয় পক্ষের সেনা প্রধানরা পরবর্তী আলোচনার মাধ্যমে ১০ মে প্রথম বৈঠক করেন। ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ টেলিফোনে আলোচনার পর ১২ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। পরে আরও দু’দফা দু’দিন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে, দুই দেশই ওই যুদ্ধবিরতি বজায় রেখেছে।

ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, এর আগেও তিনি ভারত ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধ থামিয়েছেন। পাকিস্তানের সরকার এই দাবির সত্যতা স্বীকার করেছে, যদিও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়ার এই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্রাম্পের এই দাবি যদি সত্য হয়, তবে এটি পরমাণু নিরাপত্তা ও অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com