খেলাধুলা ডেস্ক
অ্যাশেজ সিরিজের পার্থ টেস্টে রোমাঞ্চকর প্রথম দিন শেষ হওয়ার পর ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৪০ রানের লিড নিয়েছে। শুক্রবার শুরু হওয়া ম্যাচে ইংল্যান্ড মাত্র ১৭২ রানে অলআউট হওয়ার পরও সমানভাবে প্রতিহত আক্রমণ চালিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসকে ১৩২ রানে সীমিত করেছে।
প্রথম দিনটি ছিল ইতিহাসময়, যেখানে দুই দলের ব্যাটিং লাইনআপ একদিনে ১৯টি উইকেট হারিয়েছে। এটি অ্যাশেজের গত ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম দিনের সর্বোচ্চ উইকেট পতনের রেকর্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক ৩২.৫ ওভারে ৭ উইকেট শিকার করেছেন। ফলে ইংল্যান্ডের ইনিংস মাত্র ১৭২ রানে শেষ হয়, যা অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের একটি ইনিংসে সর্বনিম্ন ওভার খেলার ঘটনা। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে হ্যারি ব্রুক সর্বোচ্চ ৫২ রান সংগ্রহ করেন, ওলি পোপ ৪৬ এবং জেমি স্মিথ ৩৩ রান করেন।
অল্প রানে অলআউট হওয়ার পর ইংল্যান্ডের পেসাররা পাল্টা আক্রমণ চালান। জোফরা আর্চার প্রথম বলেই অভিষিক্ত ব্যাটার জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে শূন্য রানে আউট করেন। অধিনায়ক বেন স্টোকস নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ৫ উইকেট শিকার করেন, পাশাপাশি ব্রাইডন কার্স ৩ এবং আর্চার ২ উইকেট পান।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাট থেকে। এছাড়া ক্যামেরন গ্রিন ২৪, ট্রাভিস হেড ২১ এবং অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ১৭ রান সংগ্রহ করেন। দিনশেষে অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেট হাতে রেখে ১২৩ রানে অবস্থান করছিল। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আরও ৯ রানের ব্যবধান কমিয়ে তারা ১৩২ রানে অলআউট হয়।
ম্যাচের প্রথম দিনে উভয় দলের ব্যাটিং ও বোলিংয়ে নাটকীয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। স্টার্কের তীব্র পেস এবং বাউন্সে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ধ্বংসস্তূপের মতো গুটিয়ে যান। পাল্টা আক্রমণে ইংলিশদের পেসাররা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন, যা দলের লিড অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অ্যাশেজ সিরিজের পার্থ টেস্টের এই প্রথম দিনই নিশ্চিত করেছে যে সিরিজের অবশিষ্ট অংশও সমান উত্তেজনাপূর্ণ ও কঠিন প্রতিযোগিতামূলক হতে যাচ্ছে। দুই দেশের পেসাররা ফর্মে থাকায় ব্যাটসম্যানদের জন্য প্রতিটি ইনিংসেই চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই খেলায় পেসারদের প্রভাব এবং ব্যাটসম্যানদের মানসিক দৃঢ়তা ম্যাচের ফলাফলে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে পার্থ স্টেডিয়ামে, যেখানে ইতিহাসগতভাবে অ্যাশেজের কিছু উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে সাক্ষী হয়েছে দর্শকরা। প্রথম দিনেই ব্যাটসম্যান ও বোলারদের তীব্র প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করেছে যে অবশিষ্ট দিনগুলোতে আরও নাটকীয় মুহূর্ত দেখা যাবে।
এই খেলায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের লিড অর্জন তাদের কৌশলগত সুবিধা এনে দিয়েছে। তবে, অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের দক্ষতা এবং স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে পাল্টা প্রতিরোধের সম্ভাবনা আছে, যা ম্যাচের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।