খেলাধুলা ডেস্ক
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতায় ২০টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আগামী ২৫ নভেম্বর ভারতের মুম্বাইয়ে ড্র আয়োজন করবে, যেখানে দলগুলোর গ্রুপ ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হবে। এ প্রসঙ্গে সম্ভাব্য গ্রুপিং ইতোমধ্যে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ প্রকাশ করেছে।
বিশ্বকাপের দলগুলো ৫টি করে দলের চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। বাংলাদেশের সম্ভাব্য গ্রুপে হতে পারে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়া বাংলাদেশের গ্রুপে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপাল এবং ইতালি থাকতে পারে। অন্যদিকে আয়োজক দেশ ভারতের গ্রুপে থাকতে পারে পাকিস্তান ছাড়াও নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি।
শ্রীলঙ্কা গ্রুপে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হতে পারে। সম্ভাব্য গ্রুপে থাকছে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও ওমান। ২০২৪ সালের বিশ্বকাপের রানারআপ দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের গ্রুপে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কানাডার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সুপার এইটে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করবে।
প্রতিযোগিতার সূচি অনুযায়ী, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত বিশ্বকাপ শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এর পর ভারতের প্রতিপক্ষ হবে ক্রমান্বয়ে নামিবিয়া, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। পাকিস্তান ভারতে খেলার অনুমতি না পাওয়ায় তাদের ভারতীয় ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে। পাকিস্তান সেমিফাইনালে না উঠলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলো হবে মুম্বাই ও কলকাতায়; যদি পাকিস্তান সেমিফাইনাল ও ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করে, তবে উভয় ম্যাচ কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে, যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত।
ম্যাচ আয়োজনের ভেন্যুগুলো ভারতের মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি ও আহমেদাবাদ এবং শ্রীলঙ্কার কলম্বো ও ক্যান্ডি। এই ভেন্যুগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে পুরো বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো, যেখানে প্রতিটি দলের গ্রুপ লড়াইয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে সুপার এইট ও পরবর্তী রাউন্ডের প্রতিযোগিতা নির্ধারণ করা হবে।
বিশ্বকাপটি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সমতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে নতুন এবং প্রতিষ্ঠিত দলগুলো তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করবে, এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কা দুই দেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের দিক থেকে দৃঢ় অবস্থানে রাখবে। বিশ্বকাপের আয়োজন দেশগুলোর ক্রীড়া অবকাঠামো ও ভেন্যুর উন্নয়নের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে, পাশাপাশি ক্রিকেট ভক্তদের জন্য সমৃদ্ধ ও উত্তেজনাপূর্ণ আসরের সুযোগ সৃষ্টি করবে।