খেলাধুলা ডেস্ক
সিলেটে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হক ৮৭ রানে আউট হয়ে ফেরালেন, যা তাকে এক বছরেরও বেশি সময় পর আবারও সেঞ্চুরি ছোঁয়ার স্বপ্নকে পিছিয়ে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৯৭ রান তুলে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডকে ৫০৯ রানের জটিল লক্ষ্য দিয়েছে, প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে।
২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের কানপুরে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করার পর মুমিনুল আন্তর্জাতিক টেস্টে ১৯ ইনিংস খেলেছেন। এই সময়ে তিনি পাঁচটি ফিফটি করেছেন, যার মধ্যে সর্বশেষ ইনিংসটি ৮৭ রানে শেষ হয়েছে। তার ব্যাটিং পার্টনার মুশফিকুর রহিম এই সময় ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে শততম টেস্টে মাইলফলক অর্জন করেছেন।
তৃতীয় দিনের শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১৫৬ রান, যার ফলে তাদের লিড দাঁড়িয়েছিল ৩৬৭ রানে। চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল। দিনের শুরুতেই সাদমান ৬৯ রানের স্কোর থেকে এলবিডব্লিউ আউট হন। সাদমানের বিদায়ের পর মুমিনুল ৮৭ রান করে আউট হন, যা তার টেস্টে ২৫তম হাফসেঞ্চুরি। মুশফিক ৮১ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের অবস্থান মজবুত করেন।
প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবারও দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। মাত্র ১ রান করে আউট হওয়া শান্তের ব্যাটিংয়ে জর্ডান নিলের শর্ট লেংথ বলের যথাযথ মোকাবিলা করতে ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গেছে।
মুমিনুল-মুশফিক যুগলজুটি ১৬৭ বলে ১২৩ রানের জুটি গড়ে দলের দ্বিতীয় ইনিংসকে শক্তিশালী করে। মুশফিকের ফিফটির মাধ্যমে তার শততম টেস্টকে আরও স্মরণীয় করা হয়। বাংলাদেশের দিক থেকে সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পথ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন গ্যাভিন হোয়ে, এছাড়া অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও জর্ডান নিল একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এই টেস্টের ফলাফল বাংলাদেশের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি দলের অভিজ্ঞ ব্যাটারদের অবদান এবং দলের সামগ্রিক কার্যকারিতা তুলে ধরেছে। মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের অভিজ্ঞতা এবং সংযুক্ত জুটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ব্যাটিংকে আরও শক্তিশালী করার আশ্বাস দেয়।