খেলাধুলা ডেস্ক
ঢাকা, রোববার: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তুতিতে প্রবেশ করেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের কারণে দেশের বাইরে থাকা কয়েকজন খেলোয়াড় এবং টেস্ট সিরিজে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের জন্য জাতীয় দলের স্কোয়াডে কিছু পরিবর্তন আসছে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হচ্ছে পেসার তাসকিন আহমেদের অনুপস্থিতি। তাসকিন বর্তমানে আবুধাবি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলছেন এবং ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আইএল টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাসকিনকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফলে জাতীয় দলের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার উপস্থিতি থাকবে না।
তাসকিনের অনুপস্থিতিতে দলে সুযোগ পাচ্ছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন না এবং ইনজুরির কারণে কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। সুস্থ হয়ে ওঠার পর তিনি আবারও জাতীয় দলে ফিরছেন। বিসিবির এক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া, পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকেও বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। তার অনুপস্থিতিতে আয়ারল্যান্ড সিরিজের স্কোয়াডে ডাক পেতে পারেন পেসার হাসান মাহমুদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ইনজুরির মুখোমুখি হওয়া শরিফুল ইসলাম এবং ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ইতোমধ্যেই ফিট হয়ে উঠেছেন এবং আয়ারল্যান্ড সিরিজে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৭, ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর। প্রতিটি ম্যাচ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে খেলা হবে। সিরিজটি বাংলাদেশ দলের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের প্রস্তুতি এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাপে পরিণত হবে।
পরিবর্তিত স্কোয়াড এবং খেলোয়াড়দের বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত জাতীয় দলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে খেলোয়াড়দের সঠিক বিশ্রাম নিশ্চিত করা এবং তাদের ফিটনেস পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাইফউদ্দিনের প্রত্যাবর্তন দলের মিডল অর্ডার ব্যাটিং এবং পেস ব্যালেন্সকে শক্তিশালী করার সম্ভাবনা রাখে, যা টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজটি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে দুটি ভিন্ন ফরম্যাটে খেলা হচ্ছে। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের তাড়াতাড়ি আয়োজন খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং স্কোয়াড গভীরতার পরীক্ষা নেবে। বিসিবি ও দলের কোচিং স্টাফ খেলোয়াড়দের ঘনঘন বিশ্রাম ও রোটেশন নীতি প্রয়োগ করে তাদের দীর্ঘমেয়াদি কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাইছে।