1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

অভিনেত্রীদের প্রতি অনলাইন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবি হুমা কুরেশির

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১০ বার দেখা হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক

সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীদের প্রতি অশালীন মন্তব্য, কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ এবং ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার বিষয়। অনলাইন হয়রানির এসব প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা বহুবার উঠে এলেও এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ এখনো পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের প্রতি অবমাননাকর আচরণের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তার মতে, বাস্তব জীবনে নারীদের হয়রানির জন্য যে ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একই ধরনের আচরণ করলে সেই একই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন, পোশাক, পেশাগত কাজ বা জীবনাচরণ নিয়ে নেতিবাচক ও আক্রমণাত্মক মন্তব্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ‘মহারানি’ খ্যাত হুমা কুরেশি। তিনি বলেন, অনলাইনে বহু সময় তাকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ পরামর্শ ও মন্তব্য পাঠানো হয়, যা নারীর ব্যক্তিগত মর্যাদাকে অবমাননা করে এবং তাদের নিরাপত্তাবোধকে দুর্বল করে। অভিনেত্রীর মতে, অনলাইনে অশালীন আচরণকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রবণতা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

হুমা কুরেশি উল্লেখ করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় একই ব্যক্তি কখনো অভিনেত্রীদের নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলেন, আবার তা পরলে কটূক্তি করেন— যা এক ধরনের দ্বিচারিতা। তিনি বলেন, বাস্তব জগতে নারীদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল মন্তব্য বা কটূক্তি করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হয়; কিন্তু অনলাইনে একই কাজ করলে অনেক সময় তা অবহেলিত থাকে। তার মতে, দুই ক্ষেত্রেই অপরাধের প্রকৃতি একই হওয়ায় আইনি ব্যবস্থাও একই রকম হওয়া উচিত। অনলাইনে হয়রানিকে ‘স্বাভাবিক’ বা ‘তুচ্ছ’ হিসেবে দেখলে অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হতে পারে, যা সামাজিক পরিবেশকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।

অভিনেত্রী আরও জানান, ব্যক্তিগত বার্তায় অশ্লীল ছবি পাঠানো বা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করাও হয়রানির একটি অংশ, যা নারীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে পারে। তিনি মনে করেন, এসব আচরণ শুধু নৈতিকভাবে নিন্দনীয় নয়, বরং আইনগতভাবেও শাস্তিযোগ্য হওয়া প্রয়োজন। নারীদের পোশাক, জীবনযাপন, পেশাগত সিদ্ধান্ত বা ব্যক্তিগত সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমাজের অযাচিত মন্তব্য ও বিচার প্রথা একটি বৈষম্যমূলক মানসিকতার প্রতিফলন— যা বন্ধ হওয়া জরুরি। তিনি এ ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃঢ় অবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

হুমা কুরেশির এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন নানা প্ল্যাটফর্মের বহু নারী ও পুরুষ ব্যবহারকারী। তাদের মতে, অনলাইন হুমকি, ট্রলিং, শ্লীলতাহানি বা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য— সবই একই পরিসরের অপরাধ, যা ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আইন শক্তিশালী না হলে বা প্রয়োগ যথাযথ না হলে হয়রানিকারীরা আরও সাহস পেয়ে ওঠে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পরিচয় গোপন রেখে অপরাধ সংঘটনের সক্ষমতা থাকায় এর ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী মত দেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা, হয়রানিবিরোধী আইন এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হলে এ ধরনের অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।

তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহার মানুষের মতপ্রকাশের সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন ধরনের অপরাধ ও চ্যালেঞ্জও তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনলাইনে নারীদের লক্ষ্য করে অপমানজনক মন্তব্যের প্রবণতা সামাজিক বৈষম্য, লিঙ্গভিত্তিক মানসিকতা এবং পর্যাপ্ত আইন প্রয়োগের অভাব থেকে উৎসারিত। তাই প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা জোরদার করা, হয়রানির শিকারদের জন্য পরামর্শ ও সহায়তা কেন্দ্র বৃদ্ধি, এবং জনসচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

অন্যদিকে, পেশাগত দিক থেকে হুমা কুরেশির চলমান সময়টি সফলতার ধারাবাহিকতা বাড়িয়েছে। তার অভিনীত ‘দিল্লি ক্রাইম থ্রি’ ও ‘মহারানি ফোর’ সিরিজ দুটি দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং অভিনয় জগতে তার অবস্থান আরও সুসংহত করেছে। এসব সাফল্যের মধ্যেও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীদের প্রতি নেতিবাচক আচরণ বৃদ্ধির কারণে তিনি নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ বিষয়ে সমগ্র সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

হুমা কুরেশির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে অনলাইন নিরাপত্তা, লিঙ্গসমতা এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আচরণবিধি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আইন প্রয়োগকারীদের পাশাপাশি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য আচরণের প্রচার, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হলে নারীসহ সকলে অনলাইনে আরও নিরাপদ পরিবেশের সুযোগ পাবেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com