খেলাধুলা ডেস্ক
ইস্টার্ন কনফারেন্স সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি সোমবার ভোরে নিজেদের মাঠে সিনসিনাতিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির এক গোল ও তিন অ্যাসিস্টের দৃঢ় উপস্থিতি এবং ১৯ বছর বয়সী মাতেও সিলভেত্তির এক গোল ও এক অ্যাসিস্টে গড়া পারফরম্যান্সে ম্যাচটি মায়ামির একপক্ষীয় হয়ে ওঠে। বাকি দুটি গোল করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার তাদেও আলেন্দে।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন মেসি। জর্দি আলবার ইন্টারসেপ্ট থেকে শুরু হওয়া আক্রমণে বাম দিক থেকে সিলভেত্তির ক্রস থেকে বলটি জালে পাঠান মেসি। ৫৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাতেও সিলভেত্তি; ডান দিকের থ্রো-ইন থেকে আলেন্দে মেসিকে খুঁজে পান এবং মেসির লে-অফ থেকে সিলভেত্তি দারুণ কার্লিং শটে গোল করেন। পরে ৬২তম এবং ৭৪তম মিনিটে আলেন্দের জোড়া গোল আসে মেসির তৈরি করা কাউন্টার অ্যাটাক থেকে।
মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো এই ম্যাচে নিয়মিত মৌসুমে ১০ গোল ও ১০ অ্যাসিস্ট করা লুইস সুয়ারেজকে শুরুর একাদশে না রেখেছিলেন। শেষ ন্যাশভিল ম্যাচে লাল কার্ডের শাস্তি শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাকে বেঞ্চে রাখার সিদ্ধান্তটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। মেসির নেতৃত্বে তৈরি হওয়া তরুণ আক্রমণভাগ গত দুই ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে সফল ভূমিকা রাখছে।
ম্যাচ শেষে মায়ামি ফাইনালে উঠায় নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। দলের প্রতিটি গোলেই সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন মেসি। এই পোস্ট-সিজনে মেসি ছয় গোল ও ছয় অ্যাসিস্ট করেছেন। নিয়মিত মৌসুমে তিনি ২৯ গোল ও ১৯ অ্যাসিস্ট করে এমএলএসের এমভিপি দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
ইন্টার মায়ামি টানা দ্বিতীয়বার প্লে-অফে নিজেদের মাঠে হারার পরও বিপুল জয় অর্জন করেছে। এই জয়ের ফলে আগামী শনিবার ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে নিউ ইয়র্ক সিটির সঙ্গে। ফাইনাল জয় এলে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হবে মায়ামির।
ম্যাচে দলীয় সামঞ্জস্য, তরুণ খেলোয়াড়দের উজ্জ্বলতা এবং অভিজ্ঞ তারকা খেলোয়াড়দের নেতৃত্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। বিশেষ করে মেসি এবং সিলভেত্তির পারস্পরিক সহযোগিতায় ইন্টার মায়ামির আক্রমণধারা গতিশীল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। এই সাফল্য দলের প্রত্যাশিত উচ্চতায় পৌঁছাতে সহায়ক এবং আগামী ফাইনালে তাদের শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে।
মায়ামির এই জয় কেবল তাদের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় না খুলে প্লে-অফে দলীয় প্রস্তুতি ও কৌশলের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে, পাশাপাশি এমএলএস কাপের শীর্ষ আসরে নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছে।