বিনোদন ডেস্ক
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক পারিবারিক বার্তায় স্বামী এষণ ওয়াহিদের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পারিবারিক কয়েকটি ছবি প্রকাশের মাধ্যমে তিনি স্বামী ও পরিবারের প্রতি নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন, যা প্রকাশের পরই দর্শক ও অনুরাগীদের নজর কাড়ে।
প্রকাশিত ছবিগুলোতে রুনা খানকে স্বামী এষণ ওয়াহিদ এবং মেয়ে রাজেশ্বরীর সঙ্গে দেখা যায়। জন্মদিন উপলক্ষে স্বামীকে উদ্দেশ করে তিনি লিখিত বার্তায় জানান যে পরিবার তাঁর জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আশীর্বাদ। তিনি উল্লেখ করেন যে জীবনের অধিকাংশ সাফল্য নিজের প্রচেষ্টায় অর্জন করলেও পরিবার তাঁর শক্তির প্রধান উৎস।
বার্তায় পরিবারের ভেতরের সম্পর্ক ও দৈনন্দিন মুহূর্তের প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি জানান, মেয়ের সঙ্গে কোনো মতপার্থক্য বা তর্কবিতর্ক হলেও স্বামী তার পাশে থাকেন। পারিবারিক এ সমর্থনই তার কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা বলে তিনি মন্তব্য করেন। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের এসব অনুভূতি তুলে ধরে অভিনেত্রী স্বামীকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান এবং পরিবারের প্রতি তার অটুট ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন।
রুনা খানের এই পোস্ট প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত সাড়া পড়ে। অনুরাগী, সহশিল্পী ও পরিচিতজনরা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে এষণ ওয়াহিদের জন্মদিনে শুভকামনা জানান এবং পরিবারের প্রতি তাদের উষ্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন। বহু দর্শক মন্তব্য করেন যে রুনা খানের সরল ও আন্তরিক পারিবারিক অনুভূতি তাঁদের ভালো লেগেছে।
অভিনেত্রী রুনা খান দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করে আসছেন। টেলিভিশন মাধ্যমে অভিনয়ের মাধ্যমেই তার কর্মজীবন শুরু হয়। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে তিনি বিশেষভাবে খ্যাতি অর্জন করেন ‘হালদা’ ছবিতে তার উল্লেখযোগ্য অভিনয়ের মাধ্যমে। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। একই কাজের জন্য তিনি বাচসাস পুরস্কারও পান, যা তার অভিনয় ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
এ ছাড়াও তিনি ‘গহীন বালুচর’ ও ‘ছিটকিনি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। বিশেষ করে ‘ছিটকিনি’ ছবিতে তার অভিনয় সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন। এসব অর্জন রুনা খানকে সমসাময়িক অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে একটি বিশেষ অবস্থানে নিয়ে গেছে।
রুনা খানের সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্ট শুধু একটি জন্মদিন শুভেচ্ছা বার্তা নয়; বরং এতে ফুটে উঠেছে তাঁর পারিবারিক মূল্যবোধ, ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি। জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীদের ব্যক্তিজীবনের প্রতি সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক আগ্রহ থাকায় এমন পোস্ট দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একইসঙ্গে এটি দর্শকদের সামনে তার মানবিক ও পারিবারিক দিকটিও তুলে ধরে, যা তাকে আরও কাছের করে তোলে অনুরাগীদের কাছে।
অভিনয়জীবনে অব্যাহত সাফল্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও রুনা খান নিজের পরিবারকে অগ্রাধিকার দেন—তার সাম্প্রতিক পোস্টে সেই চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় উপস্থিতির মাধ্যমে তিনি প্রায়ই দর্শকদের সঙ্গে নিজের জীবনের বিভিন্ন দিক ভাগ করে নেন, যা তার অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও মজবুত করে। ভবিষ্যতেও এমন ব্যক্তিগত মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে তিনি দর্শক—অভিনেত্রী সম্পর্ক আরও গভীর করবেন বলে অনেকে মনে করেন।