খেলাধুলা ডেস্ক
পঞ্চমবারের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছিল চারবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ২০১৯ সালে শেষবার শিরোপা জয়ের পর এবার আবার শীর্ষে পৌঁছানোর লক্ষ্য ছিল সেলেসাওরার। কিন্তু সোমবার (২৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে পর্তুগাল টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে ফাইনালের পথ আটকাল।
ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিল একাধিক সুযোগ নষ্ট করে। অ্যাঞ্জেলো কান্দিদোর শট গোলবার স্পর্শ করে বাইরে যায়, এবং আনিসিও কাবরালও তৈরি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে ব্রাজিলের প্রথম লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা রুখে দেন পর্তুগিজ গোলকিপার রোমারিও কুনহা। অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ান কিপার জোয়াও পেদ্রো মাউরো ফুরতাদোরের প্রচেষ্টা আটকান, ফলে পর্তুগাল সুবিধা নিতে পারেনি।
প্রথমার্ধের পরে বিরতির পরও বল দখলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তবে দলটি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে পর্তুগাল দারুণ দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের প্রথম স্পষ্ট সুযোগ তৈরি করে। সান্তিয়াগো ভার্দির শট গোলবারের পাশ দিয়ে যায়, এবং ইনাসিও বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ব্রাজিলিয়ান কিপার সহজে ধরে ফেলেন।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও স্কোরবোর্ডে কোনো গোল থাকেনি। ফলে ম্যাচ পেনাল্টি শুটআউটে চলে যায়, যেখানে পর্তুগাল ৬-৫ গোলে জিতে ফাইনালে ওঠে। দেশের ইতিহাসে এটি অনূর্ধ্ব-১৭ দলের প্রথম ফাইনাল। এর আগে ১৯৮৯ সালে তৃতীয় হওয়া ছিল তাদের সর্বোচ্চ অর্জন।
ফাইনালে পর্তুগাল অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে খেলবে। প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রিয়া ২-০ গোলে ইতালিকে হারিয়েছিল। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ হবে ইতালি।
ব্রাজিল এবার রেকর্ড পাঁচবারের শিরোপা জয়ী নাইজেরিয়াকে ছুঁতে পারবে না, এবং ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাদের জন্য সেই লক্ষ্য স্থগিত থাকবে। ম্যাচ শেষে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল কিপার জোয়াও পেদ্রোর গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণ এবং দলগত সমন্বয়, যা দলের সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে সহায়ক হয়েছে। পর্তুগালের এই জয় দেশটির ফুটবল ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সংযোজন করেছে।