অর্থনীতি ডেস্ক
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর: আসন্ন কৃষি মৌসুমে পর্যাপ্ত সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার আজ দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মাধ্যমে মোট ৭৫ হাজার মেট্রিক টন সার ক্রয় করা হবে, যার মোট মূল্য প্রায় ৩৯৯.৫০ কোটি টাকা।
এই অনুমোদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৪৭তম সভায় দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশ সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উভয় প্রস্তাব বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয় এবং অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়।
প্রথম প্রস্তাবটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) থেকে আসে। এর আওতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ১০ম লট হিসেবে সৌদি আরবের স্যাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এ প্রস্তাবের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় প্রস্তাবটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে এসেছে। এর আওতায় রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন (প্রোডিনটর্গ) থেকে সরকারি পর্যায়ে (জি-টু-জি) ৭ম লট হিসেবে ৩৫ হাজার টন এমওপি সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির মূল্যও ১৯৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফসল উৎপাদনের ভরা মৌসুমে সার সরবরাহের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের আমদানি কৃষি উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে এবং সরবরাহ চেইনের বাধা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত কৃষি মৌসুমে সারের অভাবজনিত ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে। সরকারের ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষক পর্যায়ে সময়মতো সার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া, বিদেশি সরবরাহকারীর সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে চুক্তি (জি-টু-জি) কৃষি উপকরণের নিরাপদ ও স্বচ্ছ আমদানি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
এই আমদানি কার্যক্রমের ফলে ফসল উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তার উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজারে সার সরবরাহের দাম স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।