জেলা প্রতিনিধি
ঢাকা: ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ. এস. এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, আধুনিক সময়ে কাজের গুণগত মান বাড়াতে এবং প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ও সেবার ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণ কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং সরকারি সেবা প্রদান ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও মানসম্পন্ন করে।
আজ (বুধবার) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের মৌলিক শর্ত হলো সচিবালয় নির্দেশমালা ২০২৪ অনুযায়ী কাজ করা। নির্দেশনা, নীতিমালা এবং বিধিবিধান কেবল কাগজে-কলমে থাকা যথেষ্ট নয়; এগুলো বাস্তব কাজে প্রতিফলিত হলে সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
সিনিয়র সচিব বলেন, সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক কর্মচারীর অভাব রয়েছে। কাজকে শুধুমাত্র চাকরির দায়িত্ব হিসেবে নয়, রাষ্ট্রের প্রতি একটি পবিত্র অঙ্গীকার হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, যখন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজেদের দায়িত্বকে রাষ্ট্রের অগ্রগতির অংশ হিসেবে দেখেন, তখন প্রশাসন থেকে শুরু করে সেবা প্রদানের প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
তিনি আরও বলেন, পেশাদারিত্ব কেবল নিয়ম মেনে কাজ করার নাম নয়; এটি একটি মানসিকতা, যা কর্মীর আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কর্মফলকে সুসংহত করে। দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাষ্ট্রের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়াও, সেবার মান উন্নয়নে এবং নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. রায়হান কাওছার, উপসচিব (প্রশিক্ষণ ও শৃঙ্খলা) নাসরিন সুলতানা এবং উপসচিব (প্রশাসন) মাসুদ কামাল উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রশিক্ষণের কার্যক্রম এবং কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কর্মকর্তাদের আধুনিক প্রযুক্তি, প্রশাসনিক পদ্ধতি এবং সেবার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমসাময়িক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেবে। ভবিষ্যতে সরকারি সেবা প্রদান ব্যবস্থায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জনসাধারণের সন্তুষ্টি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণগুলোর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো প্রশাসনিক কাঠামোতে পেশাদারিত্ব ও নৈতিক মানসিকতা জোরদার করা, পাশাপাশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে দেশের সেবার প্রতি দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করা। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে, যাতে কর্মীরা নিয়মিত আপডেটেড জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।