বিনোদন ডেস্ক
সদ্য শেষ হওয়া মিস ইউনিভার্স ২০২৫ প্রতিযোগিতার সহ-মালিক ও থাই মিডিয়া উদ্যোক্তা অ্যান জাকাপং জাকরাজুততিপের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে থাইল্যান্ডের দক্ষিণ ব্যাংকক সিভিল কোর্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালতের সূত্র Wednesday এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার (৩০ মিলিয়ন বাত) অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন তিনি।
মামলার প্রেক্ষাপটে জানা গেছে, এক থাই প্লাস্টিক সার্জন ২০২৩ সালে জাকাপংকে জেকেএন গ্লোবাল গ্রুপে বিনিয়োগের জন্য রাজি করানোর সময় গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে, নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি না পালনের অভিযোগও আনা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এই আচরণ প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত এবং আদালতে উপস্থিত না হয়ে রায় এড়ানোর চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
মঙ্গলবার হওয়া রায় ঘোষণার দিন জাকাপং আদালতে হাজির হননি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং মামলার নতুন শুনানির তারিখ ২৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি, অর্থনৈতিক সংকটে থাকা জাকাপং ইতিমধ্যেই মেক্সিকোতে চলে গেছেন, তবে এ বিষয়ে তাঁর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই আইনি প্রক্রিয়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা বা আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংশ্লিষ্ট।’
অন্যদিকে, ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এবারের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা শুরু থেকেই বিতর্কে ঘেরা ছিল। লাইভ অনুষ্ঠানে একজন পুরুষ সঞ্চালকের আচরণ নিয়ে সমালোচনা দেখা যায়। বিজয়ী মিস মেক্সিকো ফাতিমা বোশ প্রচারণামূলক কনটেন্ট পোস্ট না করায় তিনি প্রকাশ্যে তিরস্কার করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বোশসহ কয়েকজন প্রতিযোগী মঞ্চ ত্যাগ করেন। পরদিন সংবাদ সম্মেলনে ওই সঞ্চালক কাঁদতে কাঁদতে ক্ষমা চান। বিষয়টি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবামের নজরেও আসে।
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মালিকানা ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এক সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানায় থাকা এই প্রতিষ্ঠান ২০২২ সালে জেকেএন গ্লোবাল গ্রুপের হাতে ২০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটি এর অর্ধেক শেয়ার ১৬ মিলিয়ন ডলারে মেক্সিকোর লেগ্যাসি হোল্ডিং গ্রুপ ইউএসএ-র কাছে বিক্রি করে।
উল্লেখ্য, জাকাপং এবং জেকেএন গ্লোবাল গ্রুপের সম্পর্কের এই অর্থনৈতিক বিষয়গুলো মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার পরিচালনার প্রভাব ফেলতে পারে। আদালতের সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া এই বিতর্কের ভবিষ্যত চিত্র নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।