বিনোদন ডেস্ক
দেশের মডেল ও অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে ঘিরে সম্প্রতি দেশীয় শোবিজে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, কলকাতার ‘ভালোবাসার মরশুম’ শিরোনামের ছবির জন্য তিনি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন, কিন্তু কাজ না করে আমেরিকা চলে গেছেন।
প্রথম অভিযোগটি তুলেছেন প্রযোজক পরিচয় দেওয়া শরীফ খান। তার দাবি, তিশা ছবিতে কাজ না করলেও অগ্রিম টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। তবে তিশা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শরীফ ওই ছবির প্রযোজক নন।
বিতর্ক আরও জটিল হওয়ার পর ছবির পরিচালক এমএন রাজ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানান, তিশা কাজ না করায় অগ্রিম টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “আমরা তাকে টাকা দিয়েছি। যেহেতু কাজ হয়নি, তাই কিছু টাকা ফেরত দিতেই হবে। আমাদের চুক্তিপত্রে তা উল্লেখিত না থাকলেও এটি নিয়ম। আমরা তার জন্য এক মাস অপেক্ষা করেছি, এমনকি ছবির অন্যান্য শিল্পীর শিডিউলও পরিবর্তন করতে হয়েছে।”
পরিচালক আরও বলেন, শুটিংয়ের জন্য নির্ধারিত তারিখের সময় তিনি ব্যস্ত ছিলেন এবং ভেতরে কি ঘটেছে তা জানতেন না। শুটিংয়ে না থাকার কারণে তারা সেপ্টেম্বরের ১৭, ১৮ ও ১৯ তারিখ নায়িকা ছাড়া শুট করেছেন এবং দুর্গাপূজার আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। পরে বাধ্য হয়ে নতুন নায়িকা নিয়েছেন।
অভিনেত্রী তানজিন তিশা সোমবার রাতের দিকে নিজের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতিতে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি দুই মাস অপেক্ষা করেছি; শুটিং শুরুর কথা থাকলেও পরিচালক প্রস্তুত ছিলেন না। তাই নিজে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলাম।”
পরিচালক এমএন রাজের মতে, তিশার দেওয়া বিবৃতি অসঙ্গতিপূর্ণ। তিনি স্পষ্ট করেছেন, অর্থ ফেরত দেওয়া বিষয়টি এ মুহূর্তে প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে আইনানুগ এবং যৌক্তিক ব্যবস্থা।
বিতর্কটি দেশের শোবিজ মহলে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি চলচ্চিত্র প্রযোজনার নিয়ম, চুক্তি শর্ত এবং নায়িকার দায়-দায়িত্বের দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে অনুরূপ চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদান এবং কাজের নিশ্চয়তার বিষয়ে প্রযোজক ও অভিনেতাদের মধ্যে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।