আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নতুন অভিযান শুরু করেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় একটি গভর্নর এএফপিকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকটি শহরে অভিযান পরিচালনা করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনের উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় “বিস্তৃত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান” শুরু করেছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী এলাকায় সন্ত্রাসকে শিকড় গাঁড়তে দেবে না এবং তা ব্যর্থ করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। অভিযান সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য পরে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এএফপিকে নিশ্চিত করেছে, এটি একটি নতুন অভিযান এবং এটি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া “আয়রন ওয়াল” নামে পরিচিত অভিযানের অংশ নয়। আয়রন ওয়াল অভিযান মূলত উত্তর পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল।
ইসরায়েল ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে। পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, নতুন এই অভিযান ফিলিস্তিনি অঞ্চলে রাজনৈতিক এবং মানবিক পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সেনা সূত্রগুলো জানাচ্ছে, অভিযানের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়েছে এবং স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী অভিযানের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, এমন অভিযান এলাকায় সহিংসতা এবং গোলাগুলির ঘটনা বৃদ্ধি করতে পারে, যা স্থানীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অভিযান ইসরায়েলের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম সীমিত করতে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নেওয়া একটি প্রচেষ্টা। তবে এ ধরনের সামরিক অভিযানের কারণে সামান্য হলেও নাগরিক ক্ষতি, আবাসিক এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ এবং মানবিক সহায়তার চাহিদা বৃদ্ধি হতে পারে।
ফিলিস্তিনি প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা পরিস্থিতি মনিটর করছেন এবং তারা মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। পশ্চিম তীরে চলমান উত্তেজনা এবং নতুন সামরিক অভিযানের প্রভাব ভবিষ্যতে অঞ্চলটির স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।