নিজস্ব প্রতিবেদক
চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপিকে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মো. তারেক আহমেদ চৌধুরী। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডলের মাধ্যমে নোটিশটি পপির খুলনা ও ঢাকার ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।
মো. তারেক আহমেদ চৌধুরী পপির চাচাতো বোনজামাই। নোটিশে বলা হয়েছে, তারেকের স্ত্রীর আত্মীয় সাদিকা পারভিন পপি বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। পপি যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তা পারিবারিকভাবে আলোচনা করতে পারতেন বা আইনি পথে ব্যবস্থা নিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার নামে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তাই আইনিভাবে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে।”
পপিকে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারেক আহমেদ চৌধুরীর আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল। তিনি জানান, তার মক্কেল ঢাকায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ পদে কর্মরত। পপির প্রয়াত চাচা প্রয়াত মিয়া কবির হোসেনের জামাতা হলেন তারেক আহমেদ চৌধুরী। ফলে বিবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে তারেক ও পপির মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১ নভেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে পপি তারেক আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ ও ‘মানহানিকর’ অভিযোগ করেছেন। নোটিশে পপিকে সাত দিনের মধ্যে টিভিতে ক্ষমা প্রার্থনা করার পাশাপাশি জনসমক্ষে এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে নায়িকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন নোটিশ প্রেরণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দোষী দাবি ও মানহানিকর তথ্যের বিরুদ্ধে প্রমাণের সুযোগ তৈরি করে। এটি ন্যায়িক ব্যবস্থা কার্যকর রাখার পাশাপাশি ব্যক্তির সম্মান রক্ষায় সহায়ক হতে পারে। সংবাদ সূত্র বলছে, নোটিশ পাওয়ার পর পপি নিজে বা তার আইনজীবী এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি।
এই ঘটনায় সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আইনি বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষমা চাওয়া বা বিবৃতি প্রত্যাহারের নির্দেশ পালনের মাধ্যমে বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। অন্যথায়, মামলার প্রক্রিয়া শুরু হলে আদালত দোষী বিবেচিত ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড বা অন্যান্য আইনগত শাস্তি দিতে পারেন।
মিডিয়া পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, পরিচিতি বা খ্যাতি থাকা ব্যক্তিরা যখন গণমাধ্যমে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেন, তখন সেগুলো কখনো কখনো আইনি দ্বন্দ্বের সূত্রও হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই পেশাদার ও সতর্ক যোগাযোগ রাখা এবং ব্যক্তিগত বিবাদের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা ও গণমাধ্যম পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নোটিশ ও তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া দেশের আইনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিষয়টি এখন আদালতের নজরেও আসতে পারে, যা ভবিষ্যতে আইনি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক দিকগুলো স্থির করবে।