1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদ জানাল সভাপতি ইনফান্তিনো

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২১ বার দেখা হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক

আসন্ন ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে টুর্নামেন্টের ড্র-পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। প্রথমবারের মতো ৪৮ দলকে নিয়ে বর্ধিত আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে নতুন এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে মূলপর্বের ড্র, যেখানে নতুন কাঠামোর ভিত্তিতে দলগুলোর গ্রুপ বণ্টন নিশ্চিত করা হবে।

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে যৌথভাবে বসছে ফুটবল বিশ্বকাপের ২৩তম আসর। বর্ধিত দলসংখ্যা ও বৈচিত্র্যময় আয়োজক পরিবেশের কারণে এবারের আসরকে ইতিহাসের অন্যতম বড় ক্রীড়া আয়োজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ৪৮ দলকে নিয়ে টুর্নামেন্ট পরিচালনায় গ্রুপ বিন্যাস, ম্যাচ সংখ্যা, সূচি ও নকআউট পর্বের কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ কারণে ফিফা পূর্বের ড্র-নীতি পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, যার বিস্তারিত ডিসেম্বরের ড্র অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে।

ফিফার এই উদ্যোগের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো টুর্নামেন্টের প্রতিযোগিতামূলক ভারসাম্য রক্ষা, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ভৌগোলিক বৈচিত্র্যকে মূল্যায়ন এবং বর্ধিত দলসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ম্যাচ পরিচালনা নিশ্চিত করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪৮ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন একদিকে আয়োজক দেশগুলোর জন্য লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ হলেও অন্যদিকে বিশ্ব ফুটবলের সম্প্রসারণে এটি বড় ভূমিকা রাখবে। অধিক সংখ্যক দলকে সুযোগ দেওয়ায় ফুটবলের পরিধি নতুন অঞ্চল ও বাজারে আরও বিস্তৃত হবে।

বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে বিশ্বকাপ সবসময় বিশেষ আবেগের জায়গা দখল করে থাকে। বিশ্বকাপ আসার সাথে সাথে দেশের নানা স্থানে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়। সাম্প্রতিক কয়েকটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশি সমর্থকদের উচ্ছ্বাস আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও বাংলাদেশ এখনো বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, তবুও ফুটবলভক্তদের প্রত্যাশা একদিন জাতীয় দল বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নেবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারে—এমন ইঙ্গিত এবার ফিফা সভাপতির বক্তব্যেও পাওয়া গেছে।

কাতারে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ম্যাচ শেষে তিনি বিভিন্ন দেশের সমর্থক ও প্রবাসী দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সে সময় তিনি বাংলাদেশ বিষয়ে আলাদা করে আশা প্রকাশ করেন। ইনফান্তিনো বলেন, “এগিয়ে যাও বাংলাদেশ।” পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, “বিশ্বকাপে তোমার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।” তাঁর এই মন্তব্য বাংলাদেশি ফুটবলসমর্থকদের মধ্যে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ফিফা সভাপতির বক্তব্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, বিশ্ব ফুটবল সংস্থা বিভিন্ন দেশের ফুটবল অবকাঠামো ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ফুটবলের মানোন্নয়নকে গুরুত্ব প্রদান এবং এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এমন আশাব্যঞ্জক বার্তা দেয়া হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশের ফিফা র‍্যাঙ্কিং ১৮০তম। আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, ঘরোয়া লিগের মান উন্নয়ন, বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামো উন্নয়নই বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা জোরদার করতে পারে।

২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজক তিন দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ম্যাচ আয়োজন করবে। টুর্নামেন্ট শুরু হবে আগামী ১১ জুন এবং ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। বিস্তৃত আয়োজনে দর্শক, সম্প্রচার এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর আমেরিকার বৈচিত্র্যময় দর্শকগোষ্ঠী বিশ্বকাপকে নতুন মাত্রা দেবে বলে আয়োজক কমিটি আশা করছে।

বিশ্ব ফুটবলে পরিবর্তন আনতে ফিফার সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো যেমন টুর্নামেন্টের বিস্তৃতি, ড্র-পদ্ধতির পরিবর্তন এবং বিভিন্ন দেশের ফুটবল উন্নয়নে সহায়তা—এসবই ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতাকে আরও বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল ফুটবল জাতির জন্যও এসব উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফিফা সভাপতির আশাবাদ ব্যক্তকরণে বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে নতুন অনুপ্রেরণা তৈরি হলেও মাঠের সাফল্য অর্জনে পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক উন্নয়নই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com