1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভারী বর্ষণে ৩৭১ জনের মৃত্যু

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৭ বার দেখা হয়েছে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা এবং ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ৩৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হলে বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে, এতে ১২৩ জন নিহত এবং আরও প্রায় ১৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে, ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিকম্পে ২৪৮ জন আহত হয়েছেন এবং এখনও শত শত মানুষ নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।

শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের মহাপরিচালক কোটুওয়েগোদা শনিবার জানিয়েছেন, সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৩ হাজার ৯৯৫ জন মানুষ অবস্থান করছেন। তারা মূলত বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়টি গত বুধবার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের পর থেকে টানা ভারী বৃষ্টিপাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্ধারকাজ সীমিত পরিসরে হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ায় সুমাত্রা প্রদেশের মধ্য তাপানুলি ও আশপাশের অঞ্চল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে বর্ষার অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে নদীগুলো চর বা বাঁধ ভেঙে পানি আশেপাশের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে বহু মানুষ পানির তলায় ভেসে গেছে এবং শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বর্তমানে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (BNPB) জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত থাকায় নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।

দুই দেশে বন্যা-প্রভাবিত এলাকাগুলোতে সড়ক ও যোগাযোগ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধস এবং বন্যার কারণে উদ্ধারকারী দলগুলো অনেক জায়গায় পৌঁছাতে পারছে না। এই পরিস্থিতি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ বর্তমানে ভারতের তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যবর্তী স্থানের দিকে এগোচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই রেড অ্যালার্ট জারি করেছে এবং ব্যাপক বৃষ্টি ও সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা এবং ঘনত্ব বাড়ছে। শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যাচ্ছে, অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং সময়মতো প্রস্তুতির অভাব মৃতের সংখ্যা ও ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করছে।

মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই জরুরি মেডিকেল ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে। ধস ও বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা মানুষদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার বন্যা পরিস্থিতি একটি দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন কার্যক্রমেরও প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন করছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে সঠিক পরিকল্পনা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

এই দুর্যোগের কারণে স্থানীয় অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান থাকায় মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com