খেলাধুলা ডেস্ক
কলকাতা: কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বর্ষীয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল আইপিএল ক্যারিয়ারের অবসর ঘোষণা করেছেন। ২০২৬ সালের আসরের প্রস্তুতি চলাকালীন তাকে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দল কেকেআর ছেড়ে দিয়েছে। তবে দলের সঙ্গে সম্পূর্ণ সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে না; রাসেল ফেরেননি খেলোয়াড় হিসেবে, বরং ‘পাওয়ার কোচ’ হিসেবে সাপোর্ট স্টাফের অংশ হিসেবে দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমি আইপিএল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্বের অন্যান্য লিগ ও কেকেআরের ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলব। তবে আমি কেকেআরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখব এবং ছাপ রেখে যেতে চাই। ভক্তদের মুখে ‘তোমার এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে’ এমন কথাটি শুনে অবসর নেওয়া আমার জন্য উপযুক্ত মনে হয়েছে।”
রাসেলের আইপিএল ক্যারিয়ার কেকেআরের সঙ্গে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ ও ২০২৪ সালে তিনি কলকাতার হয়ে শিরোপা জিতেছেন। ২০১৯ সালে আইপিএলের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার (এমভিপি) নির্বাচিত হন। কলকাতার হয়ে ১৬টি ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে থাকায় তার অবদান কেকেআরের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।
দলের তরফে জানানো হয়েছে, রাসেলকে ‘পাওয়ার কোচ’ হিসেবে টিম সাপোর্ট স্টাফে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তার অভিজ্ঞতা নতুন ক্রিকেটারদের জন্য কাজে লাগানো হবে। তিনি নতুন কোচ অভিষেক নায়ারের অধীনে প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত পরামর্শ দেবেন। এছাড়া টিমের বোলিং কোচ সাউদি, সহকারী কোচ শেন ওয়াটসন এবং মেন্টর ডোয়াইন ব্রাভো তাদের দায়িত্বে থাকবেন।
রাসেল নিজেও এই দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন, “হ্যাঁ, কলকাতা, আমি ফিরে আসব। জানিয়ে রাখছি, আমি কেকেআর সাপোর্ট স্টাফের একজন হতে যাচ্ছি। নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের সহায়তা ও দলের শক্তি ধরে রাখতে আমি আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব।”
বিশ্বজুড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স কেকেআরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার অবসর দলকে নতুন কৌশলগত ও দলে নেতৃত্বমূলক ভূমিকা তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে। ‘পাওয়ার কোচ’ হিসেবে তার অন্তর্ভুক্তি নতুন খেলোয়াড়দের মান উন্নয়নে সহায়তা করবে এবং দলের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে।
আইপিএল ইতিহাসে রাসেলের অবদান শুধু পারফরম্যান্সে সীমাবদ্ধ নয়; তার নেতৃত্ব ও মাঠের উপস্থিতি দলের সংস্কৃতি গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। কেকেআরের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, তার অভিজ্ঞতা নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দক্ষতা ও মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এই পরিবর্তন কেকেআরের জন্য একটি রূপান্তরমূলক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে, যেখানে দলের সুপরিচালিত কৌশল, কোচিং স্টাফের সমন্বয় এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে নতুন সাফল্যের দিক নির্দেশনা নির্ধারণ করা হবে।