বিনোদন ডেস্ক
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের স্মরণসভায় উপস্থিতি নিয়ে পরিচালক ও প্রযোজক করণ জোহর সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছেন। ধর্মেন্দ্রের মৃত্যু উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় করণ জোহরের গাড়িতে বসে হাসিমুখে ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে নেটিজেনরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভিডিওটি প্রকাশের পর বিভিন্ন ব্যবহারকারী করণ জোহরকে ‘নির্লজ্জ’ ও ‘অপ্রীতিকর আচরণের’ অভিযোগে সমালোচনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ২৪ নভেম্বর ২০২৫ সালে মারা যান। এরপর মুম্বাইয়ের একটি অভিজাত হোটেলে সানি দেওল ও ববি দেওলের আয়োজনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শাহরুখ খান, সালমান খান, রেখা, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনসহ বলিউডের প্রথম সারির শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। স্মরণসভাটি ছিল গুরুগম্ভীর এবং প্রিয় অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এক বিশেষ অনুষ্ঠান।
ভিডিওতে দেখা যায়, করণ জোহর গাড়ি থেকে নামার সময় হাসিমুখে ফোনে কথোপকথন করছেন। এই দৃশ্যটি কিছু নেটিজেনের কাছে অশোভন এবং অনুষ্ঠানের মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মনে হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির মন্তব্যের ঘরে অনেকে তার আচরণকে অবাঞ্ছিত বলে অভিহিত করেছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, “স্মরণসভায় এসে এমন নির্লজ্জ হাসি মানায় না,” আরেকজন লিখেছেন, “দেখে মনে হচ্ছে তিনি শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না, যেন কোনো ককটেল পার্টিতে উপস্থিত হয়েছেন।”
করন জোহর এখন পর্যন্ত এই সমালোচনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা সামাজিক এবং মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে, তবে এটি ব্যক্তিগত আচরণের প্রভাব ও দর্শকদের মানসিক প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলনও বহন করে।
ধর্মেন্দ্রের স্মরণসভায় উপস্থিতি এবং করণ জোহরের ভিডিও সংক্রান্ত বিতর্ক বিনোদন জগতে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এই ধরনের পরিস্থিতি বলিউডে প্রখ্যাত ব্যক্তিদের সামাজিক আচরণ এবং গণমাধ্যমে তাদের উপস্থিতির প্রভাব সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তোলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের উচিত শ্রদ্ধাসূচক অনুষ্ঠানে তাদের আচরণকে সংযত রাখা, যাতে সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা প্রদান করা যায়।
এই ঘটনা আরও স্পষ্ট করে দেখায় যে সামাজিক মাধ্যমে যে কোনো মুহূর্ত দ্রুত ভাইরাল হয়ে যেতে পারে এবং তা নিয়ে নেটিজেনদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বলিউডে এই ধরনের বিতর্ক প্রায়শই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে, যা শিল্পী এবং তাদের অনুগামীদের মধ্যে জনমতের প্রতিফলন হিসেবে দেখা যায়।