খেলাধুলা ডেস্ক
আর্জেন্টিনার এক ফুটবল টুর্নামেন্টে রেসিং ক্লাব এবং টাইগার ক্লাবের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচে উত্তেজনা ও বিতর্কের ছায়া দেখা দিয়েছে। ম্যাচটি মূল সময়ে গোলশূন্য সমাপ্ত হওয়ার পর পেনাল্টি শুটআউটে যাওয়ায় খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে চাপ প্রবলভাবে বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে রেসিং দলের কোচ গুস্তাভো কোস্তাসের আচরণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ম্যাচ চলাকালীন কোস্টাস ধূমপান করেছিলেন, যা খেলাধুলার নিয়ম অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য। প্রতিবেদনে জানা যায়, তিনি নিজেকে শান্ত করতে ও উত্তেজনা কমাতে বেঞ্চের পেছনের অংশে ধূমপান করার চেষ্টা করেছিলেন। সহকারী কোচকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তিনি তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং ধূমপান আড়াল করা যায়। তবে স্টেডিয়ামের ক্যামেরা কোস্টাসকে সিগারেট হাতে ধূমপান করতে ধরা পড়ার দৃশ্য ধারণ করে।
রেসিং বনাম টাইগারের সেমিফাইনাল ম্যাচটি মূল সময়ে কোন দল গোল করতে সক্ষম হয়নি। ফলে পেনাল্টি শুটআউটে বিজয়ী নির্ধারিত হয়। ম্যাচ শেষে রেসিং দল সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। খেলোয়াড়রা উচ্ছ্বাসে ভাসলেও কোস্টাসের আচরণ একটি বিতর্কের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে।
ফুটবল নিয়ম অনুযায়ী কোচ বা দলের কর্মকর্তাদের স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট অংশে ধূমপান করা নিষিদ্ধ। এর ফলে ম্যাচ পরিচালন সংস্থা বা ফেডারেশন কোস্টাসের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন ঘটনা খেলোয়াড় ও দর্শকদের জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারে।
এর আগে আর্জেন্টিনার ফুটবলে বিভিন্ন সময়ে কোচ ও কর্মকর্তাদের ধূমপান সংক্রান্ত নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা ধরা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাধারণত সতর্কবার্তা বা অর্থদণ্ড প্রদান করে থাকে। এই ঘটনার ফলে রেসিং ক্লাব এবং কোস্টাসের জন্যও শাস্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টুর্নামেন্টের উত্তেজনা এবং ম্যাচ পরিচালন সংক্রান্ত নিয়মের প্রতি আনুগত্যের প্রেক্ষাপটে, আগামী দিনগুলোতে ফেডারেশন এই ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্ত ও শাস্তি সংক্রান্ত ঘোষণা করতে পারে। এছাড়া, কোস্টাসের ব্যক্তিগত আচরণ এবং ক্লাব ব্যবস্থাপনার দিক থেকেও পর্যালোচনা হতে পারে।
ম্যাচটি শেষ হওয়ার পরও বিতর্ক এবং সমালোচনা সামাজিক মাধ্যমে লক্ষ্য করা গেছে। সমর্থক ও ফুটবল বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের আচরণ প্রতিরোধের জন্য কঠোর নিয়ম প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। টুর্নামেন্টের বাকি খেলা এবং সেমিফাইনালে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর উপরও এই ধরনের ঘটনা প্রভাব ফেলতে পারে।
রেসিং কোস্টাসের ধূমপান কাণ্ড ফুটবলে কোচদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মাবলীর প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছে। স্টেডিয়ামে উত্তেজনা এবং চাপের মধ্যে এমন ঘটনা পরবর্তী ম্যাচ ও টুর্নামেন্টের মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব বহন করে।