1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, ঢামেকে চিকিৎসাধীন তফসিল ঘোষণায় সহযোগিতার প্রস্তুতি জানাল জামায়াতে ইসলামী ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই নির্বাচনের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন উত্তাপ ল্যুভ মিউজিয়ামে চুরি: তদন্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটি উদঘাটন শিশু সাজিদের মৃত্যুতে শোকাহত গ্রামবাসীর দাফন সম্পন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে পুনরায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি গ্রিসে অবৈধ নৌপথে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় দুই বাংলাদেশির মৃত্যু, চিকিৎসাধীন আরও অনেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

তফসিল ঘোষণায় সহযোগিতার প্রস্তুতি জানাল জামায়াতে ইসলামী

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

রাজনীতি ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সফল করার জন্য সব ধরনের যৌক্তিক সহযোগিতার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণার পর তিনি সংগঠনের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেজে এক বিবৃতিতে এ অবস্থান তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে নির্বাচন সম্পর্কিত করণীয়, দলীয় নির্দেশনা এবং তফসিল ঘোষণার পরবর্তী সাংগঠনিক দায়িত্ব সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।

ডা. শফিকুর রহমান জানান, ঘোষিত নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে দল প্রস্তুত রয়েছে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধির অংশ হিসেবে ঘোষিত আরপিও অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সর্বস্তরের কর্মী ও দায়িত্বশীলদের নিজ উদ্যোগে প্রচার উপকরণ অপসারণ করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং একই দিনে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তাঁর ভাষণ গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়। সিইসি জানান, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি একযোগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সারাদেশে ৩০০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পাশাপাশি জনগণের মতামত যাচাইয়ের অংশ হিসেবে গণভোট আয়োজনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রার্থীরা ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। আপিল নিষ্পত্তির সময়সীমা ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি নির্ধারিত হয়েছে, যা প্রার্থিতা যাচাই প্রক্রিয়াকে আরও সুস্পষ্ট ও স্বচ্ছ করার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করা যাবে, যা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। নির্বাচনের আগের দিন প্রচার বন্ধ করার নিয়ম অনুসারে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।

ভোটগ্রহণের দিন ১২ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ভোটকেন্দ্রগুলোতে একইসঙ্গে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পর্যায়ক্রমে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতি, ব্যালটপেপার বিতরণ, নির্বাচনী সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনাও কমিশন তুলে ধরেছে।

তফসিল ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচনী উত্তাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দলগুলো মনোনয়নপ্রার্থী চূড়ান্তকরণ, প্রচার কৌশল নির্ধারণ এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সক্রিয়তা বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে। নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার ফলে দলীয় কাঠামোর ভেতরে সাংগঠনিক আনুষ্ঠানিকতাও দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছে। আচরণবিধির অংশ হিসেবে বিদ্যমান প্রচার উপকরণ অপসারণ, মিছিল-মিটিং বিষয়ে বিধিনিষেধ মানা এবং অনুমোদিত কাঠামোর বাইরে প্রচারণা না চালানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে এসব নির্দেশনাকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বাড়ানো হবে। কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, মাঠপর্যায়ের সমন্বয় এবং ভোটারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে ঘিরে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হলো। এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থিতা নির্ধারণ, নির্বাচনী কৌশল এবং মাঠপর্যায়ের সংগঠনের ওপর গুরুত্ব আরও বাড়বে। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংবিধানিক ধাপ পূরণ ও আইনগত সময়সূচি অনুসরণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির ভোট গ্রহণকে সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি এগিয়ে নেবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com