আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল-জারওয়ান জানান, রমজান মাস যদি ৩০ দিনের না হয়, তবুও ইউএইর সরকারি নীতি অনুযায়ী ৩০তম দিন ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ফলে, রমজান শেষ হওয়ার পর ঈদুল ফিতরের ছুটি ১৯ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত টানা চার দিন হতে পারে। জ্যোতির্বিদদের পূর্বাভাসে ঈদুল ফিতর শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ধরা হচ্ছে ২০ মার্চ।
সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, রমজানের শুরু এবং শেষের তারিখ নির্ধারণে চাঁদ দেখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। চাঁদ পর্যবেক্ষণ এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে সরকারি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটির দিন ঘোষণা করবে। এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে ধর্মীয় উৎসবগুলো সঠিক সময়ে পালন করা হবে।
২০২৬ সালে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আরও দীর্ঘ ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি ছুটি ক্যালেন্ডারের তথ্য অনুযায়ী, আরাফাত দিবস হতে পারে ২৬ মে এবং ঈদুল আজহা শুরু হতে পারে ২৭ মে। এই ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত চলতে পারে। যদি সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত করা হয়, তাহলে বাসিন্দারা সর্বোচ্চ ছয় দিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।
এছাড়া, এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জ্যোতির্বিদরা বলছেন যে, রমজান ও ঈদের সঠিক দিন চূড়ান্তভাবে নির্ধারণে চাঁদ দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ঘোষণার আগে বিভিন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানী চাঁদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেন। এই নিয়ম অনুযায়ী, ধর্মীয় উৎসবের দিনগুলো প্রতি বছর সূচনামূলক হিসাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতি বছর রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ছুটি এবং অনুষ্ঠান পালনের প্রস্তুতি আগেভাগে শুরু হয়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি অনুযায়ী কর্মসূচি নির্ধারণ করে, যাতে বাসিন্দারা ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। রমজান মাসের দিনব্যাপী ইফতার, জামাত এবং সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনিক প্রস্তুতিও করা হয়।
এভাবে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব এবং সরকারি নীতির সমন্বয়ে ইউএইতে রমজান ও ঈদের তারিখ নির্ধারণ করা হয়, যা দেশটির ধর্মীয়, সামাজিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুযোগ প্রদান করে।