1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
শাবনূরের জন্মদিনে ‘দুই নয়নের আলো’-র স্মরণ ডেঙ্গু আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি, সাম্প্রতিক ২৪ ঘণ্টায় কোন মৃত্যু নেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২২৫ রানের সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আসছে, আরও অন্যান্য দেশ থেকেও প্রস্তাবনা এসেছে সচিবালয়ে ভাতা বিতর্কে ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাময়িক বরখাস্ত দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা চেকপোস্ট জোরদার বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অভিযানে বিস্ফোরক মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার কেন খুন হলেন পাবনার বিএনপি নেতা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব

কেন খুন হলেন পাবনার বিএনপি নেতা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে চাচাতো ভাইয়ের গুলিতে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত বীরু মোল্লা (৬০) মৃত আবুল মোল্লার ছেলে এবং লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহত বীরু মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা জানান, মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল মোল্লা ও তার ছেলে আল আমিন মোল্লা বীরু মোল্লার বাবার জমি থেকে ইটভাটার জন্য জোরপূর্বক মাটি কেটে নেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বীরু মোল্লা জহুরুল মোল্লাকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে, অভিযোগ অনুযায়ী জহুরুল ও তার ছেলে আল আমিন অবৈধ অস্ত্র দিয়ে বীরু মোল্লার মাথায় গুলি ছোড়ে।

এ ঘটনায় আহত অবস্থায় স্থানীয়রা বীরু মোল্লাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তাসনিম তামান্না স্বর্ণা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন বলেন, নিহত নেতাকে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। তিনি বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, এটি মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বীরু মোল্লা এবং জহুরুল মোল্লার পারিবারিক বিরোধের ফলাফল।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুজ্জামান জানান, নিহত বীরু মোল্লার ঘটনা তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বিরাজ করলেও দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত বীরু মোল্লা উপজেলার একজন সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা ছিলেন এবং স্থানীয়ভাবে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের কারণে পরিচিতি ছিল। এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জহুরুল মোল্লা ও তার ছেলে আল আমিনকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় রাজনৈতিক ও পারিবারিক বিরোধের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় তা এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

এ ধরনের ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে, যাতে পারিবারিক ও রাজনৈতিক সংঘাত থেকে সৃষ্ট সহিংসতা প্রতিহত করা যায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে, তারা হত্যাকাণ্ডের সমস্ত দিক যাচাই-বাছাই করে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত এবং তা স্থানীয় পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবি করছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com