রাজনীতি ডেস্ক
ঢাকা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এমপি প্রার্থী সিগমা-ফুয়াদ নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে এই আবেদনটি করেছেন।
সিগমা-ফুয়াদ জানান, তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মসূচি পরিচালনা ও ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সময় নিরাপত্তা ঝুঁকির শিকার হতে পারেন। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের দাবি করেছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রার্থীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত আবেদনের নথি গ্রহণ করেছেন এবং বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমিশন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রস্তাবনা প্রস্তুত করছে।
বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি নিয়মিত ব্যবস্থা। পূর্ববর্তী নির্বাচনে প্রার্থীদের উপর হামলা বা হুমকি প্রদানের ঘটনা আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠন করে থাকে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় পুলিশি টহল বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এজেন্ট নিয়োগ এবং নির্বাচনী অনুষ্ঠানগুলিতে সংহত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মতো পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। বিশেষ করে, নগর ও জনবহুল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ ধরনের ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রার্থীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আবেদন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয় এবং প্রার্থীর অবস্থান, নির্বাচনী এলাকা, সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং ভোটারের ঘনত্বের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই প্রক্রিয়া ভোটের স্বচ্ছতা ও প্রার্থীর স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়।
একই সঙ্গে, নির্বাচনী পরিবেশে শান্তি বজায় রাখা এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও কমিশনের লক্ষ্য। কমিশনের অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষক দল ও পুলিশ প্রশাসন প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যক্রম মনিটরিং করে থাকে, যাতে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই অনুরোধটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে প্রার্থীদের প্রতি ইসির সহায়ক ভূমিকার উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সিগমা-ফুয়াদের দাবি অনুযায়ী, নির্বাচনী সময় তাকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে প্রচারণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আরও সুষ্ঠুভাবে সম্ভব হবে।
এদিকে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও প্রার্থীদের অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য কমিশন বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রার্থীদের সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ এবং মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা পরিচালনার নিয়মাবলী।
এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রার্থীদের মধ্যে ভরসা জাগায় এবং সাধারণ জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করে। নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার ফলে নির্বাচনী ফলাফলকে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রমাণিত করা যায়।
সর্বশেষ, নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে এবং সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে।