জাতীয় ডেস্ক
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের ধানমন্ডির শংকরে অবস্থিত ছায়ানট ভবনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দিনব্যাপী ছায়ানট ভবনে পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।” তিনি আরও জানান, হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সরকার ছায়ানট কর্তৃপক্ষকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। “এ ব্যাপারে ছায়ানট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমাদের জানাবেন,” বলেন ফারুকী।
ফারুকী জানান, ছায়ানট ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর অংশ হিসেবে, ছায়ানট ভবনের বাইরের এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। “এই বিষয়ে আমি উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছি,” বলেন তিনি।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “এই হামলা নির্বাচন বানচাল করার একটি ষড়যন্ত্র। আজ আমাদের শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার দিন। কিন্তু ঘটনা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছায়ানট, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এসব জায়গায় হামলা করে যারা করেছে, তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় না।”
ফারুকী বলেন, “এই জাতীয় শোকের মুহূর্তে এমন একটি হামলা, একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে, তা শুধু একটি ফৌজদারি অপরাধ নয়, বরং ২০১৩ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী।”
তিনি বলেন, এমন হামলা দেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি এক বড় ধরনের আঘাত। সন্ত্রাসী শক্তি যাদের দ্বারা এই হামলা চালানো হয়েছে, তারা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
ছায়ানটের নিরাপত্তা ও সংস্কারের বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে যাতে ভবনটি আবারও সংস্কৃতির চর্চার জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়।