জাতীয় ডেস্ক
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রশিবির নেতা রাফিউল হাসান নিহত হয়েছেন। তিনি শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় নিহত হন।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম জানান, রাফিউল হাসান বগুড়া জেলা পূর্ব শাখার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে শেরপুর উপজেলার মহিপুর এলাকায় একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। রাফিউল শহীদ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডের শাহী মসজিদে আসেন। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাফিউল হাসান বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ছাত্রশিবিরের স্থানীয় নেতাদের তথ্য অনুযায়ী, তিনি সম্প্রতি একটি উপশাখার সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে রাফিউল মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। মহিপুর এলাকায় পৌঁছানোর পর একটি দ্রুতগামী বাস উল্টো পথে গিয়ে আরেকটি বাসকে ওভারটেক করার চেষ্টা করলে তার মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রাফিউল মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
শহীদ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে রাফিউলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে আগামী দিনগুলোতে তার মৃত্যুর বিষয়ে আরও আন্দোলন এবং বিচার দাবি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই দুর্ঘটনা পুনরায় সড়ক নিরাপত্তা এবং পরিবহন ব্যবস্থায় ত্রুটির বিষয়ে প্রশ্ন উঠিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।