জাতীয় ডেস্ক
ডা. জুবাইদা রহমান শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় কাতার এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরেছিলেন। দেশে ফিরে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। চিকিৎসা ও পারিবারিক দেখভালের জন্যই তিনি মূলত দেশে এসেছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গত এক মাসের মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য প্রদান করেন।
ডা. জুবাইদা রহমানের লন্ডন যাত্রা এবং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক এই তথ্য দেশজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে হঠাৎ পরিবর্তিত স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠদের সরাসরি চিকিৎসা ও দেখভাল নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা দেশের রাজনৈতিক মহলে সরাসরি নজরকাড়া বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ক নিয়মিত আপডেট এবং পরিবার ও দলের ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করছে। এসময় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ডা. জুবাইদা রহমানের দেশে থাকা মূলত ব্যক্তিগত এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশে ফিরে খালেদা জিয়ার সাথে সময় কাটানো এবং তার চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা বিএনপি পরিবারের ও দলের নীতি অনুসারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যদিও দেশে তার অবস্থান সংক্ষিপ্ত, তবুও এটি দলের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ এবং পরিবারের সমর্থন প্রদানের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
এ ঘটনায় সরকারি বা চিকিৎসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো নতুন পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকার তথ্য রাজনৈতিক মহলে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। ডা. জুবাইদা রহমানের লন্ডন ফেরা এবং আগামী পরিকল্পনা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ এবং পারিবারিক দায়বদ্ধতা প্রসঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
এর মাধ্যমে দলের ঘনিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং পরিবার প্রধানের সঙ্গে সুসংগতভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া এবং স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজনৈতিক পরিবারের স্বাস্থ্য বিষয়ক এমন পর্যবেক্ষণ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দলের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।