রাজনীতি ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাদিক কায়েম দেশবাসীকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ আহ্বান জানান।
সাদিক কায়েমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহীদ ওসমান হাদির জানাজা শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ যোহর জাতীয় সংসদ ভবন-মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি দেশবাসীকে জানাজার জন্য উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এবং শহীদকে সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রদান করতে দোয়া ও মোনাজাত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডাকসু ভিপি আরও জানিয়েছেন, যারা ঢাকায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না, তারা মসজিদ, পাড়া-মহল্লা, শহর-উপশহর, স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা আয়োজন করতে পারেন। গায়েবানা জানাজার পরে অংশগ্রহণকারীদেরকে আধিপত্যবাদবিরোধী কফিন মিছিল আয়োজন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, শহীদ ওসমান হাদির শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনায় বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়—মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা—এও প্রার্থনার আয়োজন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সাদিক কায়েম তার বার্তায় উল্লেখ করেছেন, আল্লাহ শহীদ ওসমান হাদিকে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার তৌফিক দিন।
শহীদ ওসমান হাদি বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী নেতাদের একজন হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর শাহাদাত দেশের ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক চেতনার ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলে, যা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্মরণ করা হয়। শহীদ ওসমান হাদির স্মরণে আয়োজিত জানাজা ও গায়েবানা অনুষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সড়ক ও এলাকা পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, জানাজার দিনে স্থানীয় যানবাহনের চলাচল ও জনসাধারণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
শহীদ ওসমান হাদির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে তারা শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করবেন এবং সামাজিক ঐক্য ও দায়িত্বশীলতার বার্তা সম্প্রচার করবে।