1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
হত্যাকারীর গ্রেপ্তারে এক সপ্তাহেও অক্ষমতার তীব্র নিন্দা ধীপ চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড: ফ্লোর ম্যানেজারসহ গ্রেপ্তার ১০ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ঘোষণা: ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাস শুরু, রমজানের প্রস্তুতির ক্ষণগণনা শুরু সৌদি আরবের তাবুক ও হাইল অঞ্চলে বিরল তুষারপাত, শীতকালীন আবহাওয়ায় ব্যতিক্রমী দৃশ্য ইরানি তেল পরিবহনের অভিযোগে আরও ২৯ জাহাজে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে সঠিক বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘের ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের কারাদণ্ড সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে ক্রিকেটাঙ্গনে শোক ও প্রতিক্রিয়া

ইরানি তেল পরিবহনের অভিযোগে আরও ২৯ জাহাজে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের তেল ও তেলজাত পণ্য পরিবহনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে ২৯টি জাহাজ এবং সেগুলোর পরিচালনাকারী সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব জাহাজ ব্যবহার করে শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইরানি অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেল আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবহন করা হয়েছে। ওয়াশিংটনের মতে, এই কার্যক্রম ইরানের রাজস্ব আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজ করছে, যা দেশটির ওপর আরোপিত বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে এড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করছে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় একজন মিশরীয় ব্যবসায়ীও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন বা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানি এই ২৯টি ট্যাংকারের মধ্যে অন্তত সাতটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে জাহাজের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো জটিল করে তুলেছে, যাতে তেল পরিবহনের প্রকৃত উৎস ও গন্তব্য গোপন রাখা যায়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ হওয়া জাহাজগুলো ইরানের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’-এর অংশ। এই নেটওয়ার্কের জাহাজগুলো সাধারণত ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ রাখা, ভুয়া পতাকা ব্যবহার, মালিকানা পরিবর্তন কিংবা সমুদ্রে জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তরের মতো কৌশল অবলম্বন করে থাকে। এসব পদ্ধতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়িয়ে ইরানি তেল বিশ্ববাজারে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় শুধু জাহাজ নয়, বরং সংশ্লিষ্ট একাধিক শিপিং ও ব্যবস্থাপনা কোম্পানিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠান ইরানি তেল পরিবহনের লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে বাধা সৃষ্টি করেছে। ফলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিষিদ্ধ থাকবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইরানের তেল রপ্তানি সীমিত করতে ধারাবাহিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এই সময়কালে ইরানি তেল পরিবহনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮০টির বেশি জাহাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইরানের জ্বালানি খাতকে আর্থিকভাবে চাপে রাখার পাশাপাশি দেশটির ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোই যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থার তথ্য ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে। ট্যাংকার ট্র্যাকারসহ একাধিক পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জোরদার হওয়া সত্ত্বেও ইরানের তেল রপ্তানি পুরোপুরি থামেনি। বিশেষ করে ইরানের প্রধান ক্রেতা হিসেবে পরিচিত চীন সাম্প্রতিক সময়ে তুলনামূলকভাবে আরও বেশি পরিমাণে ইরানি তেল আমদানি করছে বলে এসব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি ওয়াশিংটনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের মাধ্যমে ইরানের রাজস্ব কমানোর চেষ্টা করছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় ইরানি তেল বিকল্প পথে প্রবেশ করছে। ফলে নিষেধাজ্ঞার বাস্তব প্রভাব ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, ইরানের তেল পরিবহনের সঙ্গে জড়িত যেকোনো নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে ফাঁকফোকর কমানো যায়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ইরানি তেল রপ্তানি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বিস্তৃত কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ নিতে হতে পারে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com