জাতীয় ডেস্ক
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হওয়াকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) হাদির জানাজার আগে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীকে তদন্ত ও নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করার দাবি জানিয়েছেন।
অবদান রাখার সূত্র ধরে আবদুল্লাহ আল জাবের হাদি কোনো ধরনের সহিংসতা সমর্থন করেননি। তিনি জানাজা ও দাফনের পরে উপস্থিত জনসাধারণকে শাহবাগে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জানান, “ইনকিলাব মঞ্চ থেকে পরবর্তী সব সিদ্ধান্ত জনগণকে জানানো হবে।”
জানাজার অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা হাদির আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ও হাদির বড় ভাইও বক্তব্য রাখেন। হাদির বড় ভাইই জানাজার নামাজে ইমামতি করেন।
জানাজার অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড এবং গ্রেপ্তারে বিলম্ব দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো হত্যাকারীর দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়লেও, এক সপ্তাহ পার হওয়া সত্ত্বেও কোনো গ্রেপ্তার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
হাদির হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা, প্রশাসনিক তৎপরতা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দ্রুত ও কার্যকর গ্রেপ্তারের অভাবে সাধারণ জনগণের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার প্রতি আস্থা ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃবৃন্দও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, হত্যাকারী সনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি করা হবে। তারা জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, সকল প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হবে এবং তদন্তের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে জানানো হবে।
ঘটনাস্থল ও জানাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী, স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশি কর্মকর্তারা নিরাপত্তা জোরদার করেছেন। হাদির পরিবার, মঞ্চ সদস্য এবং উপস্থিত জনতা জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না গেলে সামাজিক উত্তেজনা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ড দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তদন্তে স্বচ্ছতা এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা জনগণের আস্থা ও শান্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।